নগরীর সাভার থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। দ্রুত সময়ে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করাতে এসেছেন তিনি।
সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ই-পাসপোর্ট করাতে পারেননি। সোমবার অপেক্ষা করার শেষ মুহূর্তে ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পারেননি তিনি। কারণ সার্ভার ডাউন ছিল। ফলে মঙ্গলবার আবারও তাকে সাভার থেকে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ে সৌদি আরবে যাবো। ভিসা রেডি। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে গতকাল সারাদিন অপেক্ষা করার পর বেলা শেষে বলে দিল সার্ভার ডাউন। তাই আজকে আবার এসেছি।
সরেজমিন ঘুরে দেখো গেছে, পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ভিড় সামলাতে বাধ্য হয়ে অফিসের গেট বন্ধ করা হচ্ছে। কারণ স্বল্প জনবল দিয়ে হঠাৎ করে বেশি মানুষকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন পর বুধবার ১১ আগস্ট পাসপোর্ট অফিসে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামলাতে এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে আর কোনো জায়গা ছিল না। পরদিন বৃহস্পতিবার মানুষের ভিড় আরও বাড়ে। এদিন বেলা ২টার সময় প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২টার মধ্যে যে সংখ্যক মানুষ পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করে তাদের ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টসহ পাসপোর্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে রাত ৯টা বেজে যায়। অতিরিক্ত মানুষের সেবা দিতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তিন দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে আবার শুরু হয় স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু দীর্ঘ সময় সার্ভার ডাউন থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীরা। মঙ্গলবারও সার্ভার ডাউন ছিল অনেকটা সময়। ফলে অনেকেই আবেদন করতে পারেননি।
নগরীরর জিগাতলা থেকে আসা আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে ই-পাসপোর্ট অবেদন করতে পারিনি গতকাল। আজকেও একই সমস্যা। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ, দ্রুত সময়ে ওমানে যেতে হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যান্ত্রিক কারণেই মূলত সার্ভার ডাউন ছিল। তবে সার্ভার ডাউন যাতে আর না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পরিচালক (ই-পাসপোর্ট প্রকল্প) মো. সাইদুর রহমান বলেন, লকডাউন ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে মানুষের ভিড় বেশি। ই-পাসপোর্টে মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। সবাই ই-পাসপোর্ট করতে চায়। আমরাও আমাদের সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
সার্ভার ডাউন প্রসঙ্গে সাইদুর রহমান বলেন, যান্ত্রিকভাবে এটা হয়েছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত। সার্ভারে সমস্যা হলে এটা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায় না। সবাই মিলে কাজ করে এটা সমাধান করা হয়। তবে সামনে এমন সমস্যা যাতে না হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসএইচ-০৭/১৭/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)