টাকা চুরির মামলায় ফাঁসলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

ব্রাজিলিয়ান

খাবারের প্রতি তার প্রচণ্ড লোভ ছিল। সে কারণেই নাকি ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে রাজত্ব করতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার অ্যান্ডারসন। কিন্তু তাই বলে টাকা চুরি করবেন ফুটবল তারকা!

পোর্তো থেকে ২০০৭ সালে অ্যান্ডারসনকে কিনে নেয় ম্যান ইউ। যে আশা নিয়ে তাকে নেওয়া হয়েছিল, সে আশা তিনি পূরণ করতে পারেননি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উত্থানের দিনগুলোয় পেছনেই পড়ে যান অ্যান্ডারসন। সম্ভাবনা জাগিয়ে দ্রতই হারিয়ে গেছেন অন্ধকারে।

কিন্তু অ্যান্ডারসনও হতে পারতেন রোনালদো কিংবা মেসির মতো বিশ্বসেরা, যদি খাবারের প্রতি লোভটা তার বেশি না হত। কিছু দিন আগেই এমন কথা বলেছিলেন ইউনাইটেডেরই সাবেক ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক রাফায়েল। এবার জানা গেল, মোটা অংকের টাকা চুরির মামলায় ফেঁসেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।

গোল ডটকমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, আটজনের একটা দল বানিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ওই দলটি গত বছরের এপ্রিলে বড় এক ব্রাজিলিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্ম থেকে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।

গত বছরই পোর্তো অ্যালেগ্রেতে অ্যান্ডারসনের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সে সময় তার ব্যক্তিগত কম্পিউটার জব্দ করা হয়। তখন অ্যান্ডারসন জানিয়েছিলেন, তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির কেনাবেচার কাজ করেন। তবে কোনো ধরনের অবৈধ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

জানা গেছে, ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তদন্ত করেছে। তদন্তের পর চুরি, প্রতারণা, অর্থ পাচারে সব মিলিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার তথ্য অনুযায়ী, চুরি করা ওই টাকা ব্রাজিলের চারটি ভিন্ন রাজ্যের ১১টি ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। এরপর দেশে-বিদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে ওই অর্থ পাচার করে দেওয়া হয়।

ব্রাজিলের ক্লাব গ্রেমিওতে ২০০৪ সালে অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের। এরপর তিনি কিছুদিন পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে খেলেছেন। ২০০৭ সালে তাকে কিনে নেয় ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেখানে ৮ বছরে মাত্র ১০৫ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি। গোল করেছেন ৫টি।

এছাড়া, ব্রাজিলের হয়ে সব মিলিয়ে মাত্র ৮ ম্যাচ খেলেছেন অ্যান্ডারসন। তবে ২০০৭ কোপাজয়ী ব্রাজিল দলে তিনি ছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেও চুরির অভিযোগ উঠেছে। পারভজ রসুলের বিরুদ্ধে পিচ রোলার চুরির অভিযোগ এনেছে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জেকেসিএ)।

শুধু অভিযোগই নয়, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রসুলের কাছে সরাসরি ইমেইল পাঠিয়েছে জেকেসিএ। যদিও অবশেষে চাপের মুখে পেছনে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয় জেকেসিএ।

এসএইচ-১১/২১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)