ভারতগামী যাত্রীদের বেশির ভাগই রোগী

সাড়ে চার মাস পর এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় চালু হলো বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল।

রোববার বেলা ১১টায় বিমান বাংলাদেশের কলকাতা ফ্লাইট এবং সাড়ে ১০টায় ইউএস-বাংলার চেন্নাই ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়ে।

সপ্তাহে বাংলাদেশি বিমান সংস্থা সাতটি এবং ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে। যাত্রীদের বেশির ভাগই চিকিৎসা ভিসায় ভারতে যাচ্ছেন।

গত ১৪ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বাংলাদেশ থেকে বিমানপথে যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়। মে মাসের মাঝামাঝি ১২ দেশের সঙ্গে আবার আকাশপথ চালু হলেও বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশ রুট।

দুদেশের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের পর এয়ার বাবল চুক্তিতে রোববার সকালে আবারও চালু হলো। সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চেন্নাই রুটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট এবং সকাল ১১টায় কলকাতার উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট যাত্রা করে।

৭ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ। পাশাপাশি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে দুই দিন রোববার ও বুধবার বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করবে রাষ্ট্রীয় এ বিমান সংস্থাটি। অন্যদিকে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা গন্তব্যে সপ্তাহে তিনদিন তিনটি ফ্লাইট চালাবে।

এয়ার বাবল চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় তিনটি বিমান সংস্থা-এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইস জেট ও ইন্ডিগো এয়ার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ভারত থেকে আসা যাত্রীরা ‘বিজনেস ভিসা’ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। আসার পর তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারত যাবেন, তাদের দেশটির বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। তবে এই সময়ে ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

এসএইচ-০৭/০৫/২১ (অনলাইন ডেস্ক)