প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে করলো টুকরো লাশ

স্বামীর অগোচরে অনেকদিন ধরেই পরকীয়ায় বুদ হয়ে ছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু ধরা তো পড়তেই হবে। বিষয়টি জানাজানির পর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি স্বামী। তাইতো স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করেন স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক।

স্বামীকে কেটে টুকরো টুকরো করেন তারা। এরপর মরদেহ গলিয়ে গুম করতে ব্যবহার করেন রাসায়ানিক। কিন্তু উল্টো ঘটে বিপত্তি। রাসায়ানিকে মরদেহ দিতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ধরা পড়ে যান স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবরে বলা হয়, বছর তিরিশের রাকেশকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী রাধা এবং প্রেমিক তথা রাকেশের সহযোগী সুভাষ, রাধার বোন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বেআইনি মদের ব্যবসা করতেন রাকেশ। তার সহযোগী ছিলেন সুভাষ। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে রাকেশ প্রায়ই এ দিক ও দিক লুকিয়ে বেড়াতেন। তখন তার স্ত্রীর খেয়াল রাখতেন সুভাষ। এভাবেই সুভাষ এবং রাধার মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সেই প্রণয়ের সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন রাকেশ। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন রাধা এবং সুভাষ। তাদের সঙ্গে যোগ দেন রাধার বোন এবং তার স্বামী।

পুলিশ জানিয়েছে, তিজ পার্বন উপলক্ষে রাকেশকে ডেকে আনেন রাধা। রাকেশের ভাড়া করা ফ্ল্যাটেই সবাই হাজির হন। তারপর রাকেশকে খুন করেন চারজন মিলে। এরপর রাকেশের দেহ লোপাটের জন্য সুভাষ তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন। আগে থেকেই নিয়ে আসা ছিল রাসায়নিক। কেউ যাতে টের না পান তার জন্য রাকশের দেহাবশেষগুলি রসায়নিকের মধ্যে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই বিপত্তি ঘটে। সেই রাসায়নিকে বিস্ফোরণ ঘটে। চারপাশে ছিটকে পড়ে রাকেশের দেহাবশেষ।

ফ্ল্যাটের ভিতরে হঠাৎই বিস্ফোরণে চমকে উঠেছিলেন আশপাশের বাসিন্দারা। কী হয়েছে তা জানতে বেরিয়ে আসতেই তারা দেখেন একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে গড়িয়ে আসছে রক্ত। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন তারা। পুলিশ এসে দরজা খুলতেই হতভম্ব হয়ে যায়।

চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে হাড়, মাংসের টুকরো। রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে তা থেকে। রাকেশের দাদা দীনেশ সাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে রাধা, সুভাষ, রাধার বোন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এসএইচ-০৯/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)