পর্দার ‘মা’কেমন আছেন?

নৃত্যশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক। ষাটের দশকে বাংলা ও উর্দু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিনেমাটি।

বলছিলাম আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী আনোয়ারার কথা। গোলাপি এখন ট্রেনে, দেবদাস, শুভদা সিনেমা অভিনয় করে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। পরে পর্দায় ‘মা’ চরিত্রে অভিনয় করে জয় করেছেন অসংখ্য দর্শকের হৃদয়।

পর্দার আলোচিত এ অভিনেত্রী এখন আর দাঁড়ান না লাইট-ক্যামেরার সামনে। গল্প, চরিত্র পান না বলেই কাজ করা হয় না বলে জানান তিনি। আনোয়ারা বলেন, ‘গল্প, আমার চরিত্র না পেলে আমি করব না। যত বয়স বাড়বে তাদের জন্যও গল্প আছে কিন্তু আমাদের এখানে এসব হয় না।’

কিছুদিন আগে স্বামীকে হারিয়েছেন আনোয়ারা। এখন বাসাতেই তার সময় কাটে। আনোয়ারা মনে করেন, নায়িকা চরিত্রে আলাদা কিছু করার নেই। তার ভাষায়, ‘নায়িকাতে আলাদা কিছু করার নেই। যারা চরিত্রাভিনেত্রী তাদের অনেক কিছু করার থাকে। সে হিসেবে আমি ভাগ্যবতী। আসলে আমি বিভিন্ন রকমের চরিত্র করেছি। দর্শকরা আমাকে ভালোবাসে, আমি জানি। দর্শকরা আমাকে আনু দি, আনু আপা বলেন। কিন্তু ভক্তরা আমাকে মা বলেন।’

ক্যারিয়ারের কোনো অপ্রাপ্তি বা কষ্ট নেই আনোয়ারা। চলচ্চিত্র যেন আরও এগিয়ে যায় সে কামনা করলেন তিনি। আগে সিনেমাগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেত। এখন কেন হয় না? প্রশ্ন ছিল আনোয়ারা কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আগে আমরা যখন কাজ করেছি পরিচালকদের কিন্তু আমরা ভয় পেতাম। তাদেরকে আমাদের বাবা মনে হতো। আমরা ভালোবাসতাম, আবার বাবার মতোও লাগত। এখানে বন্ধুত্ব থাকতে হবে, সম্মানও থাকতে হবে।’

গুণী এ অভিনেত্রী মনে করেন, চেষ্টা করলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। দর্শকদের জন্য ভাবতে হবে। তাহলেই ফিরে আসবে চলচ্চিত্রে সুদিন।

এসএইচ-০৯/২৪/২২ (বিনোদন ডেস্ক)