প্রতি মুহূর্তেই রূপ পরিবর্তন করছে মোখা

প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে ধেয়ে আসছে মোখা। তবে প্রতি মুহূর্তেই এটি পরিবর্তন করছে রূপ। এখন পর্যন্ত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চরিত্র বজায় রেখে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। এরই মধ্যে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। মোখার প্রভাবে সব থেকে ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়া। কক্সবাজার উপকূল ও চট্টগ্রামে ৮ থেকে ১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসসহ রয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।

প্রবল শক্তিমত্তা নিয়ে উপকূলে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখা যেকোনো সময় ধারণ করতে পারে আরও বিধ্বংসী রূপ।

মোখার প্রভাব পড়বে পুরো চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলেও। মহাশক্তিধর এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আনা হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়। এছাড়া উপকূলীয় আরো ১১টি জেলায় থাকছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

এদিকে, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরের জন্য বজায় থাকছে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকত।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বাতাসের গতি ১৯০ কিলোমিটার থেকে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও তা ২১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। অর্থাৎ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে অগ্রভাগ তুলনামূলক কম সম্প্রসারণ হওয়ায় এখনো সেই মাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে না।

এ দিকে এরই মধ্যে বেশকিছু সংবাদমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মোখাকে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কথা জানায়, যা নিয়ে তৈরি হয় নতুন আতঙ্ক। শনিবার রাত আড়াইটায় সর্বশেষ ব্রিফিং-এ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, মোখা গতি বাড়িয়ে বর্তমানে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপর ও ভোলাসহ উপকূলীয় ১০ জেলায় ৫ থেকে ৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। রয়েছে পাহাড়ধসের ঝুঁকিও।

এসএইচ-০৬/১৪/২৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)