অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের রাশেদ শ্রাবন

অস্ট্রেলিয়ার আকাশে শনিবার সকাল ছিল অন্য দিনগুলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। প্রশান্তের তীরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ছিল অন্যরকম অনুভূতি। বাংলাদেশ কমিউনিটি অস্ট্রেলিয়া পেলো সুখবর। গত তিন সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিশনের অফিসের ভেসে আসা সেই পুরষ্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি সাংবাদিক, গবেষক এবং কমিউনিটি ওয়ার্কার রাশেদ শ্রাবন।

সামাজিক কাজের বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর কঠিন সময়ে এই কমিউনিটি ওয়ার্কার কাজ করেছেন আর্থিক অসচ্ছল এবং নিন্ম আয়ের অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য। নিজের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন এবং টিনএজ (ভাতাপ্রাপ্ত) বাসা ভাড়ায় অনুদান, নিজের রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার পাঠিয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য।

তার এই কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাশেদ শ্রাবনের সঙ্গে আরও ১৬ জন ব্যক্তি ও সংগঠনকে এই বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেন। অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন এবং এই মহামারীতে যে সকল সামাজিক সংগঠন অবদান রেখেছেন তাদেরকে রিয়েল হিরো বলে বক্তব্য শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি এবং আমার পরিবার একসঙ্গে কমিউনিটি ওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সকল নিবেদিত মানুষের জন্য আমার পৃথিবীর সেরা জাতী, এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানে আছে। সাংবাদিক রাশেদ শ্রাবনকে লেখা পত্রে প্রধানমন্ত্রী গত ১০ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহের বিভিন্ন সামাজিক কাজের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশি হিসেবে এই প্রথম কোন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর সম্মাননা পেয়েছেন, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক মাইলফলক। পুরষ্কার পাওয়ার পর রাশেদ শ্রাবন বলেন, আমার এই আমি সকল প্রবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম সাংবাদিক অস্ট্রেলিয়ার বুকে আমাদের বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী পরিচয় নিয়ে এসেছে।

রাশেদ শ্রাবন এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

বাংলাদেশের নোয়াখালীর সন্তান রাশেদ শ্রাবন ২০১৮ সালে সামাজিক কাজে অবদানের জন্য পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন টি দ্য ইয়ার (ব্যাংকস টাউন-কেন্টারবুরী)। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল হক বলেন, রাশেদ শ্রাবনের এই পুরষ্কারে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ আনন্দিত। এই পুরষ্কার আমাদের সকল প্রবাসীর জয়।

এসএইচ-০৭/১৩/২০ (প্রবাস ডেস্ক)