চূড়ান্ত হয়নি প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার হোটেলের তালিকা

যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইনের বাইরে বিকল্প হিসেবে হোটেলে রাখার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো হয়নি হোটেলের তালিকা। সব প্রস্তুতি থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল মালিকদের সংগঠন-বিহা।

যথাযথ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই হোটেল নির্ধারণের দাবি সংগঠনটির। যদিও নির্ধারিত সময়ের আগেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাত্রীদের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির হোটেলে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র।

করোনার সংক্রমণ রোধে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বিদেশ ফেরতদের নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। সরকারীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের পাশাপাশি বাংলাদেশেও আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রবাসীদের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশ আগেই প্রস্তাব দেয়া হয়। যদিও নানা কারণে এতদিন সে পথে যায়নি সরকার।

যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় সংক্রমণ ঠেকাতে এবার কঠোর হয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্য ফেরত প্রবাসীদের অনেকেই সরকারী ব্যবস্থাপনায় কোয়োরেন্টাইনে থাকতে অনীহা প্রকাশ করায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে পহেলা জানুয়ারি থেকে তাদের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও এখনো করা হয়নি হোটেলের তালিকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমআইএস পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার হোটেলের ব্যবস্থা করে দেবে। তাদের শুধুমাত্র ব্যয় বহন করতে হবে। যে থানার আওতায় হোটেল নির্ধারণ করা হবে, সেই থানা থেকেই তাদের নজরদারি নিশ্চিত করবে।

যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেলের তালিকা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করার আহ্বান জানিয়েছে হোটেল মালিকদের সংগঠন। প্রবাসীদের আবাসনের জন্য সাধারণ সময়ের চেয়ে কম অর্থ নেয়া হবে বলেও জানান সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে গাইড লাইন রয়েছে সেটা মেনেই তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা কম খরচে হোটেলগুলোতে সাধারণ মানুষের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবো।

প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে গড়ে ১ হাজার ৩০০ যাত্রী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। এর আগে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনার সম্মুখ সমরের যোদ্ধা চিকিৎসক ও নার্সদের ঢাকায় শতাধিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।

এসএইচ-০৫/৩০/২০ (প্রবাস ডেস্ক)