মালয়েশিয়ায় ২১ হাজার ভুয়া ‘অস্থায়ী কর্মসংস্থান পরিদর্শন পাস’ শনাক্ত

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সাবেক অফিসারের সহায়তায় ২১ হাজার ৩৭৮টি ভুয়া অস্থায়ী কর্মসংস্থান পরিদর্শন পাস (পিএলকেএস) শনাক্ত করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন। আর এসব অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) পাওয়া বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

তাদের শনাক্তকরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর জড়িত স্ব স্ব দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া থেকে কালো তালিকাভুক্ত করে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ।

স্থানীয় সময় বুধবার মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক বাংলাদেশী কর্মীকে গ্রেফতারের পর অননুমোদিত অস্থায়ী কর্মসংস্থান পরিদর্শন পাস (পিএলকেএস) পাসের বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে ইমিগ্রেশন বিভাগ। গত বছর থেকে এই সিন্ডিকেট এবং তাদের কার্যক্রম ট্র্যাক করা শুরু হলেও কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে তাদের চিহ্নিত করতে কিছুটা সময় লেগে যায়।

তদন্তে দেখা যায়, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইট (এমওয়াইআইএমএমএস) হ্যাক করার মাধ্যমে ভুয়া ভিসা স্টিকারের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের মধ্যে একজন ইমিগ্রেশন বিভাগের সাবেক অফিসারও ছিলেন। এছাড়াও এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে একজন ‘দাতুক’ রয়েছে, যিনি ইমিগ্রেসন বিভাগের কার্যক্রম ও ব্যবস্থার সাথে জড়িত ছিল।

তদন্তে উঠে আসা এই সিন্ডিকেট বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছিল যার ফলে সরকার অপরিশোধিত শুল্কের মাধ্যমে ৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত লোকসান করেছে।

অভিবাসন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের আশেপাশের ২২টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩ থেকে ৪৩ বছর বয়সী সকল ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আরও তিনজন সিন্ডিকেট সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে যারা হাজার হাজার রিঙ্গিতের জন্য ভুয়া পাস বিক্রি করতে সহায়তা করতেন। এই পাসগুলি বেশিরভাগই বাগান, উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতে কাজ করা বিদেশীদের কর্মীদের দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন ও অভিবাসন বিভাগের সাম্প্রতিক যৌথ অভিযানে প্রায় ২৫ মিলিয়ন মূল্যের সম্পদ উদ্ধার করে যার মধ্যে ১২টি বিলাসবহুল প্রাইভেট কারসহ ৬৬টি যানবাহন, ৩৪টি ব্র্যান্ডেড ঘড়ি এবং নগদ ৫ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জব্দ করা হয়।

এসএইচ-২০/০৮/২১ (প্রবাস ডেস্ক)