৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশিসহ প্রায় ৩২ হাজার বিদেশি কর্মী আসবে মালয়েশিয়ায়। দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের ঘাটতি দূর করতেই মূলত বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু শ্রম অভিবাসনের স্বার্থে বাংলাদেশসহ অন্য সোর্স কান্ট্রিগুলো থেকে কর্মী নিয়োগ চলছে।

স্থানীয় সময় রোববার মালয়েশিয়ার শিল্প, বৃক্ষরোপণ ও পণ্যমন্ত্রী দাতুক জুরাইদা কামারুদ্দিন কেলান্তান রাজ্যে জাতীয় কেনাফ ও তামাক বোর্ডের সদর দপ্তরে কেনাফ গ্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড নথি হস্তান্তরের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে থাকা কর্মীরা সবাই তাদের কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া সম্পন্ন করেছেন। আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পর্যায়ক্রমে আসতে শুরু করবে। আমাদের স্থানীয় নাগরিকরা বৃক্ষরোপণ কাজে আগ্রহী না হওয়ায় আমরা বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস স্থানীয়রাও ধীরে ধীরে একাজে পারদর্শী হয়ে উঠবে।

এছাড়া দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় (এমওএইচআর) স্ট্যান্ডিং অর্ডার অব অপারেশন (এসওপি) খসড়া করেছে এবং কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) কাছে একটি বিদেশি শ্রমিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করেছে। যেখানে একসঙ্গে দুই হাজার শ্রমিক থাকতে পারবে।

দেশটিতে পাম-অয়েলসহ বাগান খাতে জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তা দূরীকরণে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় একমত পোষণ করেছে। রোপণ খাতে শ্রমিকের অভাব জাতীয় আয়ে ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করেছে যা বছরে ২০ বিলিয়ন রিঙ্গিত, বিশেষ করে পাম-অয়েল খাতে।

এক্ষেত্রে, স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করতে আগ্রহী করার পরও কোনো সাড়া না মেলায় বিদেশি কর্মী দিয়ে বৃক্ষরোপণ খাত পূরণ করা দরকার বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।

এদিকে পাম বাগানের শ্রমিক সংকট দূরীকরণে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মালয়েশিয়ার চাইনিজ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসিসিসিআইএম)। এ পদক্ষেপ পাম-অয়েল শিল্পসহ বৃক্ষরোপণ খাতকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করেন তারা।

এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো পণ্য রপ্তানি ১৮০ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বাড়ানো। এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৬০ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

এর আগে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার অনলাইন বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শিগগিরই বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী সম্মতি ব্যক্ত করেন।

এসএইচ-২৯/০৩/২১ (প্রবাস ডেস্ক)