ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ১৬ মাস বয়সী কন্যাসন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিজের কন্যাশিশু হুমায়রাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করে বাবা জাকির হোসেন।

সকালে হত্যাকারীর দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে হত্যাকারী জাকিরকে আটক করে।

পরিবারের সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছর সাতেক আগে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে জাকির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় নন্দীগ্রাম উপজেলার বুরইলের রমজান আলীর মেয়ে রাবেয়া খাতুনের। বিয়ের এক বছর পরেই ঘর আলো করে আসে একটি কন্যা সন্তান।

বছর তিনেক পরে আবারও স্ত্রী রাবেয়া খাতুন সন্তানসম্ভবা হলে পুত্র সন্তানের প্রত্যাশা করে অভিযুক্ত জাকির। তবে ১৬ মাস আগে আবারও কন্যা সন্তান হুমায়রা জন্ম নিলে শুরু হয় মনোমালিন্য। প্রায়ই কলহে জড়াত এই দম্পতি। এরই জেরে সোমবার আবারও কলহ বাধে জাকির-রাবেয়ার। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় হুমায়রাকে পানিতে ফেলে হত্যা করে জাকির।

নিহত শিশুর মা রাবেয়া খাতুন বলেন, মধ্যরাতে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার মেয়ে হুমায়রা খাটের ওপর নেই। পরে পরিবারের সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানাই। সেইসঙ্গে আমার বোন-দুলাভাইকে খবর দেই। এরপর সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার স্বামীকে চাপ দেন তারা। পরে তিনি পুকুরে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে। হত্যার কথা স্বীকার করায় বাবা জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির মা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এসএইচ-১৮/২৭/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)