আমগাছ কেটে ফেলছেন বাগান মালিকরা

শতবর্ষী সব আমগাছ কেটে ফেলছেন আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগান মালিকরা। পুরোনো গাছে ফলন না হওয়া এবং পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, নতুন জাতের অধিকসংখ্যক গাছ রোপণ করলে বেশি লাভবান হবেন বাগান মালিকরা।

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে বছরের পর বছর সুস্বাদু রসালো আমের জোগান দিচ্ছে শতবর্ষী এসব গাছ। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও পুরোনো আমগাছের সংখ্যা কম নয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। কিন্তু বয়সের ভারে আমগাছগুলো ধীরে ধীরে হারিয়েছে উৎপাদনক্ষমতা। পাশাপাশি বেড়েছে পরিচর্যা খরচ। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমবাগান মালিকরা।

এ অবস্থায় পুরোনো গাছ অপসারণ করে একই জায়গায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আমের চারা রোপণের চিন্তাভাবনা তাদের।

বাগান মালিকরা বলছেন, একেকটি গাছের বয়স ৮০-১০০ বছর। তবে এখন এসব গাছ থেকে আর ভালো ফলন হয় না। পুরোনো গাছগুলো কেটে সেখানে হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল চারা লাগানোর কথা জানান বাগান মালিকরা।

জেলা কৃষি অফিস বলছে, পুরোনো গাছে শত চেষ্টায়ও ভালো ফলন হয় না। তাই একটি পুরোনো বড় আকারের গাছের বিপরীতে সেখানে ৮-১০টি উচ্চ ফলনশীল চারাগাছ রোপণ সম্ভব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু গাছ কাটাকে সমর্থন করছি না। কাটা গাছের স্থানে নতুন গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছি আমরা।’

চলতি বছর জেলার ৩৮ হাজার হেক্টর বাগানে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন।

এসএইচ-০৭/২৫/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)