বাজারে অপরিপক্ব লিচু, না খাওয়ার পরামর্শ

লিচু পরিপক্ব হতে আরও কিছুদিন সময় লাগতো। তার আগেই দিনাজপুরের হিলিতে বাজারে উঠতে শুরু করেছে ফলটি। মৌসুমের নতুন ফল হিসেবে অনেকে কিনছেন। আবার বেশি দাম ও মিষ্টি না হওয়ায় অনেকেই কিনছেন না। এদিকে অপরিপক্ব এসব লিচু না খেতে পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

হিলি বাজারের পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় ও খাদ্যগুদাম মোড়ে লিচুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই বিক্রেতা। প্রতি ১০০ পিস মাদ্রাজি জাতের লিচু ৩০০ টাকা হিসেবে বিক্রি করছেন।

লিচু ক্রেতা মাহবুব আলম বলেন, ‘আজকেই প্রথম হিলি বাজারে লিচু চোখে পড়লো। মৌসুমের নতুন ফল। ছেলেমেয়েদের খাওয়ানোর জন্য কিনলাম। দাম একটু বেশি। ছোট আকারের ১০০ লিচু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫০ টাকায় ৫০ পিস কিনেছি।’

‘এসব লিচু এখনও মিষ্টি হয়নি। অপরিপক্ব আছে। এগুলো খাওয়া ক্ষতিকর, তাই কিনিনি। আর কিছুদিনের মধ্যে বাজারে পরিপক্ব লিচু আসবে, তখন কিনবো।’

হিলি বাজারে লিচু বিক্রি করতে আসা আবু তাহের বলেন, ‘দিনাজপুর অঞ্চলের লিচু পরিপক্ব হতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। তবে অতিরিক্ত গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে পাঁচবিবি উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় লিচুতে রং চলে এসেছে। বাগান মালিক বাড়তি লাভের আশায় এসব লিচু বিক্রি করছেন। নতুন ফল হিসেবে বাজারে চাহিদা থাকায় আমরাও বাগান থেকে এসব লিচু কিনে বাজারে তুলছি। আজ বাজারে প্রথম লিচু এনেছি। অনেকেই লিচুর দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে কেনার আগে খেয়ে স্বাদ দেখে নিচ্ছেন। লিচু মিষ্টি না হওয়ায় না কিনেই ফিরছেন অনেকে। তবে কেউ কেউ নতুন ফল হিসেবে স্বাদ নেওয়ার জন্য কিনছেন।’

লিচু বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া বলেন, ‘বাগান থেকে প্রতি ১০০ লিচু ১৮০ টাকা দরে কিনেছি। এর সঙ্গে গাছ থেকে লিচু পাড়তে ১৫ টাকা ও পরিবহনে ১৫ টাকা খরচ রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাজারে প্রতি ১০০ লিচু ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, ‘উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে। এখনও লিচু পুরোপুরি পাকেনি। এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে পরিপক্ব হতে। আগামী ১৫ মে থেকে আগাম মাদ্রাজি জাতের লিচু ভাঙা শুরু হবে। ২০ তারিখের পর থেকে নিয়মিত এই জাতের লিচু ভাঙা শুরু হবে।’

বাজারে অপিরিপক্ক লিচু বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়তি দামের আশায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই কিছু বিক্রেতা লিচু বাজারে আনছেন। তবে আমরা সাধারণ মানুষকে এই ধরনের লিচু না খেতে নিরুৎসাহিত করবো। এসব লিচুতে রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। সব ফলের পরিপক্ব হওয়ার সময় থাকে। পরিপক্ব না হলে সেটি কোনও দিক থেকেই ভালো নয়।’

এসএইচ-১৮/০৮/২৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)