৩৯০ বিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার আসন, যেভাবে ফল জানা যাবে

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন ৩৯০ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩৯০ টি বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ৭৭ হাজার ১৪০ টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির কার্যক্রম অনলাইনে উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

গত বছরের (২০২০ সাল) ১৫ ডিসেম্বর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং শূন্য আসনগুলোর বিপরীতে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ আবেদন গৃহীত হয়।

এসব আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে শিক্ষার্থী নির্ধারণে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি ব্যবস্থা করা হয়।

লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয় বলে দাবি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, প্রতিবন্ধী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে রেনডম (দৈবচয়ন) পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়।

সোমবার ঢাকার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক।

ওয়েব ও এসএমএস এর মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীরা আবেদন করেন ও আবেদনের ফি দেয়। ডিজিটাল অনলাইন লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন রাউন্ডে ভর্তির ফলাফল প্রস্তুত করা হয় এবং উক্ত রাউন্ডের মধ্যে আবারও লটারি করে ১ টি রাউন্ড বাছাই করা হয় ও চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও চূড়ান্ত ফলাফল এর পাশাপাশি একটি ‘অপেক্ষমান’ তালিকা প্রস্তুত করা হয় ।

ভর্তি কার্যক্রমের মোট ৩৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৭ হাজার ১৪০ শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯টি। বিভাগভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা ঢাকায় ১,৬৭,৬১০, চট্টগ্রাম ১,৩৩,৫৫৮, বরিশাল ১৬,২৮৭, ময়মনসিংহ ৪৯,০৬০, রাজশাহী ৭০,৮১২, খুলনা ৪৩,৫০৬, সিলেট ২৪,৫৭৩, রংপুরে ৬৯,৫২৩।

এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে ৪২,৩৭২, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১২,৬৮৫, চতুর্থ শ্রেণী ২২,৯৬৮, পঞ্চম শ্রেণী ৩৬,৭৩৪, সপ্তম শ্রেনী ১১,৫৩১, অষ্টম শ্রেণী ২১,৩৯৩, তৃতীয় শ্রেণী ১,৪৮,১৯৪, ষষ্ঠ শ্রেণী ২,৪৩,৫১৬ ও নবম শ্রেণীতে ৩৫,৫৩৬।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে র‌্যানডম পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফলের পাশাপাশি একটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ফল http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।

এসএইচ-২৭/১১/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)