রাবির সেই নিয়োগ স্থগিত, ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান তার কর্মদিবসের শেষদিনে ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ যে ১৩৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তা স্থগিত করে ‍রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এ বিষয়ে রিট দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের করা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘রাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের দেওয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত। তিন মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।’

গত ৩১ আগস্ট কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রাবিতে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে রিট দায়ের করেন। রিটে বিতর্কিত নিয়োগ স্থগিতের পাশাপাশি ভিসি সোবহানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ৬ মে শেষ কার্যদিবসের আগের রাতে ভিসি ড. এম সোবহান ৯ জন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিভিন্ন পদে ১৩৮ জনকে নিয়োগ দেন। তারও আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে নিজের মেয়ে-জামাতাসহ ৩৪ জন শিক্ষককে ‘অবৈধ উপায়ে’ নিয়োগ দেন তিনি। এসব নিয়োগকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে ১৭৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

১৩৮ জনের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ৬ মে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের পর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশাল ওই নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ইউজিসি।

এসএইচ-১৮/০৬/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)