মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ স্তরের শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনায় এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে হবে।
২০২১ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে প্রস্তুত ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ সনদ দেওয়া হবে।
এজন্য আগামী ৬ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর আগারগাঁও মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না।
গত বছর করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হলেও এ বছর হওয়া না হওয়া নিয়ে ছিল সংশয়।
এর আগে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলতি বছর প্রাথমিক স্তরের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা এবং অন্যান্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া না হলেও এ স্তরের সব শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তাতে শুধু পাস উল্লেখ থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জেএসসি-জেডিসির শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি হয়ে গেছে। এখন তাদের ফরম ফিলাপ করা হবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এ ফরম ফিলাপের পর বছর শেষে তাদের সনদ দেওয়া হবে। তবে সনদে কোনো ডিভিশন/শ্রেণি বা জিপিএ উল্লেখ থাকবে না।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় বন্ধ বাড়িয়ে গত মাসের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। এ কারণে গত বছর জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক সমাপনীর বদলে শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে করোনা মহামারির কারণে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।
এসএইচ-২০/০৯/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)