এইচএসসিতে ‘ভুল প্রশ্নে’ পূর্ণ নম্বর পাবেন শিক্ষার্থীরা

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিকের (এইচএসসি) পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের দুই ধরনের মান নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের চিন্তিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ ওই প্রশ্নে যেসব শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে তাদের পূর্ণ নম্বর দেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সোমবার পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের ৪ নম্বর প্রশ্নের উদ্দীপকের মান নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো একই প্রশ্নপত্রে উদ্দীপকের দুই ধরনের মান দেওয়া ছিল। কোনো প্রশ্নপত্রের মান ২ দশমিক ৫০ আবার কোনো প্রশ্নপত্রের মান দেওয়া আছে ২৫০। এ ভুলটি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েন। যে কারণে তারা তাৎক্ষণিক বিষয়টি কেন্দ্র প্রধানদের জানান।

তাদের ধারণা, তারা এ ভুলের কারণে নম্বর কম পাবেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব হন পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বোর্ড কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়ার স্বপ্ন পুরণ হবে না।

যশোরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আযম জানান, কেন্দ্র প্রধানরা তাকে জানিয়েছেন একই প্রশ্নপত্রের ৪ নম্বর প্রশ্নে কোনটিতে উদ্দীপকের মান ২৫০ আলোকবর্ষ এবং কোনটিতে ২ দশমিক ৫০ আলোকবর্ষ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে। বিষয়টি জানার পরপরই যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, বিষয়টা তাদের নজরে এসেছে। যশোর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, মূলত ৪ নম্বর প্রশ্নের উদ্দীপকের মান হবে ২৫০ আলোকবর্ষ। প্রিন্টিংয়ের সময় হয়ত কিছু প্রশ্নের ২৫০ মানের ২ এর পর ঠিক মাঝ বরাবর একটি ডট পড়েছে। সাধারণত দশমিক লিখলে তা সংখ্যার পাশে নিচের দিকে দেওয়া হয়। এখানে সেটা হয়নি। ফলে এটা প্রিন্টিং মিসটেক। এর জন্য শিক্ষার্থীদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। যারা ওই প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তারা পুরো নম্বর পাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার ক্ষতির শিকার হবে না।

প্রসঙ্গত, যশোর শিক্ষা বোর্ডে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় ১৯ হাজার ৩৫ জন অংশ নিয়েছে।

এসএইচ-২৫/০৭/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)