শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি করতে পারবে বাবা-মা ছাড়াও

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাবিষয়ক সব তথ্য থাকবে। তবে, যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ বা ছাড়াছাড়ি হয়েছে, তারা ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যায় পড়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ব্যানবেইসের আইইআইএমএস প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনি বলেন, আমরা ইউনিক আইডির কাজটি যতটা সহজ করা যায়, সেই চেষ্টাই করেছি। আমাদের ওয়েবসাইটের নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা আছে, যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মা দুজনই আছে, তারা দুজনের এনআইডি নম্বর দিবে।

যাদের বাবা আছে তারা বাবার, যাদের মা আছে তারা মায়েরটা দিবে। মোটকথা একজনের দিলেই হবে। আর যাদের বাবা-মা দুজনের কেউই নেই, তারা যেকোনো একজন আত্মীয়ের এনআইডি নম্বর দিলেই হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশিক্ষণের সময় বারবার শিক্ষকদের বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তাদের মনোযোগের ঘাটতি ছিল। তা না হলে ইউনিক আইডির রেজিস্ট্রেশনে বাবা-মা দুজনের এনআইডি নম্বর না দিলে শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না, এমন ভুল তথ্য দিতেন না।

করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ইউনিক আইডি তৈরি কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এখন তা আবার পুরোদমে চলছে। এর অংশ হিসেবে ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে শুরু হয়েছে ডাটা এন্ট্রির কাজ।

ব্যানবেইস বাস্তবায়নাধীন ‘স্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণি) শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ডাটাবেইজ তৈরি ও ইউনিক আইডি দেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে তথ্যছক পূরণের কার্যক্রম চলমান আছে।

এসএইচ-০৮/১৭/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)