ভাতে পোকা-মুরগির মাংসে পালক, ক্যান্টিন বন্ধ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্‌দীন হলের ক্যান্টিনে বাসি-পচা খাবার পরিবেশনের অভিযোগে ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন হলটির শিক্ষার্থীরা। ভাতে পোকা ও মুরগির মাংসে পালক থাকার পাশাপাশি রান্নাঘরে ঢুকে আরও পচা খাবার পান তারা। পরে ওই খাবার বের করে হলের বাগানে নিয়ে ফেলে দেন।

শুক্রবার দুপুরে কবি জসীম উদ্দীন হলে খাবার খেতে এলে ভাতে পোকা দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ক্যান্টিনের ম্যানেজার মোবারক হোসেনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করতে তেড়ে যান। এসময় তারা ম্যানেজার মোবারককে অপসারণ এবং ক্যান্টিন পরিষ্কার ও মানসম্মত করার আগ পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকবে বলে জানান।

তাদের অভিযোগ, ক্যান্টিনে প্রায়ই বাসি-পচা খাবার দেওয়া হয়। যে চালের ভাত দেওয়া হয়, তা নিম্নমানের। পচা সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করা হয়। এসব খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়াও ফ্রিজের ভেতরের বেশিরভাগ খাবারই পচা এবং নষ্ট।

এসময় শিক্ষার্থীদের জেরার মুখে ক্যান্টিন ম্যানেজার মোবারক পোকাওয়ালা চালের বস্তা দোকানদার ভুল করে দিয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়াও পচা মাংসের প্যাকেটের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি কোনো শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখে গেছেন।

ঘটনার একপর্যায়ে কবি জসীম উদ্দীন হল প্রাধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, আবাসিক শিক্ষক ড. মো. জহিরুল ইসলাম, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান এসে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ নষ্ট খাবার দেখেন এবং রান্না করা পালকযুক্ত মুরগির মাংস ক্যান্টিন ম্যানেজারকে খেতে বলেন। তিনি বলেন, ‘এসব খাবার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

এসএইচ-১৮/২৬/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)