স্পর্শিয়ার রহস্য মানুষটি কে?

বাংলাদেশের শোবিজের একজন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুহাসিনী অর্চিতা স্পর্শিয়াকে নিয়ে এখন এক মধুর গসিপ চলছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। তাকে নাকি কে একজন আল্লাদ করে ‘কাঠবিড়ালি’ বলে ডাকেন।

নাট্যজগতের এই তারকা বর্তমানে অভিনয় করছেন চলচ্চিত্রে। একাধিক ছবির কাজ রয়েছে তার হাতে। ‘কাঠবিড়ালি’ নামের একটি ছবিতেও কাজ করছেন তিনি। ছবিতে তাকে চটপটে ও চঞ্চল এক তরুণীর চরিত্রে দেখা যাবে। চলতি বছরেই মুক্তি পাবে ছবিটি।

মূলত এই ‘কাঠবিড়ালি’ ছবির সুবাদে বিশেষ কেউ একজন স্পর্শিয়াকে কাঠবিড়ালি বলে ডাকা শুরু করেছেন। কে সেই বিশেষ মানুষটি। এ নিয়ে প্রশ্নে স্পর্শিয়ার মুখে মিটি মিটি হাসি। তবে মুখে কুলুপ আটেননি নায়িকা। সংবাদমাধ্যমে এটি রহস্য হিসেবে রেখে দিয়েছেন, ‘কে কাঠবিড়ালী নামে ডাকে সেটা বলা যাবে না এখন। এটা একটা রহস্য।’

তবে কি আবার স্পর্শিয়ার জীবনে নতুন কারও আবির্ভাব ঘটেছে? কৌতূহল অনেকের। প্রথম দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটেছে, তাও যে প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেছে।

২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞাপননির্মাতা রাফসান আহসানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বাগদান সম্পন্ন হয় স্পর্শিয়ার। তার দুই দিন বাদে ১ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। একটি অনলাইন শপের ভিডিওচিত্র নির্মাণের সময় সখ্য গড়ে উঠেছিল রাফসান ও স্পর্শিয়ার। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় বন্ধুত্বে। এরপর প্রেম ও পরিণয়।

কিন্তু সেই শুভ পরিণয় দুই বছরও টেকেনি। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি কাজী অফিসে দুজনের জীবনের পথ আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দিকে বাঁক নেয়। অবশ্য তার মাসখানেক আগে থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন এই জুটি।

ছাড়াছাড়ি প্রসঙ্গে তখন স্পর্শিয়ার সাবেক স্বামী রাফসান অভিযোগ করেছিলেন, তাদের সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিলেন। সেই তৃতীয় ব্যক্তিই এই ‘কাঠবিড়ালি’র অচেনা মানুষটি কি না এমন গুঞ্জন এখন ঢালিউড পাড়ায়।

স্পর্শিয়ার অভিনয়জীবন শুরু প্যারাসুট তেলের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার মধ্য দিয়ে। ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িতে গেলাম’ শিরোনামের বিজ্ঞাপনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তখন। এরপর এয়ারটেলের কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেন তিনি। ‘রোদ’ ও ‘ওয়ারিশনামা’ দিয়ে পা রাখেন নাট্যজগতে। এখন কাজ করছেন চলচ্চিত্রে।

এসএইচ-২২/০৩/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)