‘অ্যাসিড আক্রান্ত’ দীপিকার ছবি ভাইরাল

অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের চরিত্রে যে দীপিকা পাড়ুকোন অভিনয় করছেন, সে খবর আগেই প্রকাশ পেয়েছিল। এও জানা গিয়েছিল ছবির শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অ্যাসিড আক্রান্তের চেহারায় দীপিকাকে কেমন লাগবে, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। এবার তার নিরসন হল। প্রকাশ পেল ‘ছপাক’ ছবির ফার্স্ট লুক।

দীপিকা তাঁর টুইটার প্রোফাইলে নিজের লুক প্রকাশ করেছেন। ছবিতে দেখা গিয়েছে আয়নার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দীপিকা। চেহারা তাঁর অ্যাসিড আক্রান্তের মতোই কুঁচকে গিয়েছে। একঝলকে লক্ষ্মী আগরওয়ালের সঙ্গে তেমন কোনও অমিল চোখে পড়ছে না। বরং দীপিকাকে এই চরিত্রে বেশ ভালই মানাচ্ছে।

লক্ষ্মী আগরওয়ালের লড়াইয়ের কথা সকলেরই জানা৷ ২০০৫ সালে তাঁকে এক যুবক প্রেম প্রস্তাব দেয়৷ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন লক্ষ্মী৷ এই ‘অপরাধে’ ওই যুবক লক্ষ্মীর মুখ-সহ গোটা শরীর লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ে৷ দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি৷ এরপর অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হন৷ তাতেও দমেননি লক্ষ্মী৷ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷

অ্যাসিড কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ একটি এনজিও-র হয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করতেন লক্ষ্মী৷ পরে বিয়েও করেন৷ সন্তানও রয়েছে তাঁর৷ কিন্তু সাংসারিক জীবনেও সেভাবে সফল হননি তিনি৷

আপাতত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর৷ সন্তান ও মাকে নিয়ে মুম্বইতে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে দিন কাটান লড়াকু এই মহিলা৷ লক্ষ্মীর সংগ্রামের কাহিনিকেই বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন মেঘনা গুলজার৷ লক্ষ্মীর চরিত্রের জন্য তিনি বেছে নেন দীপিকাকে৷ তাঁর বিপরীতে অভিনয় করার জন্য প্রথমে ওঠে রাজকুমার রাওয়ের নাম। ছবির জন্য রাজকুমারের শুটিং ছিল ৪৫ দিনের।

কিন্তু অভিনেতা ২০ দিনেই সমস্ত কাজ গুটিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। তার উপর নাকি আবার ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু দীপিকার তুলনায় তাঁর রোলটি খুব ছোট। তার উপর ছবির বাজেটও খুব কম। তাই রাজকুমারের পিছনে বেশি টাকা খরচ করতে চাননি নির্মাতারা। ওই চরিত্রে তাই শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়েছে বিক্রান্ত ম্যাসেকে।

এসএইচ-১৭/২৬/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)