বলিউড চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে তা নির্মাণ শুরু করে মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত শোরগোল চলে। চলচ্চিত্র কে পরিচালনা করছেন, কারা অভিনয় করবেন শুরু করে পুরনো কোনো সফল ছবির রিমেক কিনা, এ নিয়েও চলে গুঞ্জন।
বলিউডে এতদিন ধরে মুক্তিপ্রাপ্ত এমন অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র রয়েছে, যেগুলো নিয়ে শুরুর দিকে গুঞ্জন ছিল যে সেগুলো হলিউড বা অন্য কোনো সিনেমার রিমেক।
কিন্তু ট্রেলার দেখে ধারণা হওয়ার পর যখন সবাই পূর্ণাঙ্গ সিনেমা দেখেন, তখনই রেশ কাটে ভুল ধারণার। এমনই কয়েকটি সিনেমা নিয়ে এবারের আয়োজন।
১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় বলিউড সিনেমা ‘আচানক’। সে সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক গোবিন্দর খ্যাতি ছিল শীর্ষে। তাই তার প্রতিটি সিনেমাই ছিল দর্শকদের কাছে প্রত্যাশিত।
কিন্তু যখন আচানক সিনেমার প্রথম ট্রেলার মুক্তি পায়, তখন গুঞ্জন উঠল এ চলচ্চিত্র বোধহয় হলিউড কাল্ট ক্ল্যাসিক ‘দ্য মাস্ক’-এর রিমেক। দ্য মাস্ক চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে।
বলা হয়েছিল, একটি দৃশ্যে আচানকে গোবিন্দর সাজসজ্জা অনেকটা দ্য মাস্ক চলচ্চিত্রের জিম ক্যারির মতো ছিল। অবশেষে যখন চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়, তখন এ ধারণা বদলে গেল। আচানকে একটি গান ছিল ‘ঝুমলে বাবা ঝুমলে’। সে গানে গোবিন্দর সাজসজ্জা অনেকটা ‘দ্য মাস্ক’ চলচ্চিত্রের চরিত্রের সঙ্গে মিললেও দুটো চলচ্চিত্রের ঘটনার সঙ্গে কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
আমির খান ও মনীষা কৈরালা অভিনীত ‘মান’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। চমত্কার সব গানের কারণে এ সিনেমা এখনো যেন সবার হূদয়ে গেঁথে রয়েছে। সিনেমাটি মুক্তির কেবল দুই বছর আগে মুক্তি পায় জেমস ক্যামেরনের জনপ্রিয় হলিউড চলচ্চিত্র ‘টাইটানিক’।
কিন্তু বলিউড ও হলিউডের এ দুটি সিনেমার মধ্যে কোনো প্রকার মিল না থাকা সত্ত্বেও শুরুর দিকে ‘মান’ সিনেমার ট্রেলার সবাইকে একটু ভাবিয়েছিল।
জাহাজের ওপর কয়েকটি সিক্যুয়েন্স থাকার কারণে ট্রেলার দেখে সবাই ভেবেছিল, এবার বুঝি বলিউডি টাইটানিক দেখতে পাবে তারা। কিন্তু ছবি মুক্তির পর এ ধারণা ভুল প্রমাণ হলো।
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাল হো না হো’ মুক্তির আগে বলিউড পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছিল, শাহরুখ খান ও সাইফ আলী খান অভিনীত এ চলচ্চিত্র বুঝি রাজেশ খান্না ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘আনন্দ’ চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
এক সাক্ষাত্কারে কাল হো না হো প্রসঙ্গে ছবির পরিচালক নিখিল আদভানি বলেন, আমরা একটি গল্প বলতে চেয়েছি। যদি এ সিনেমা দেখে মানুষের আনন্দ ছবির কথা মনে পড়ে বা এ ছবির সঙ্গে অমিতাভ অভিনীত আনন্দ ছবির কোনো মিল থাকে, তবে সেটা কাকতালীয়।
তিনি আরো বলেন, কাল হো না হো একটি প্রেমের গল্প, অন্যদিকে আনন্দ কোনো প্রেমকাহিনী ছিল না।
এবার আসা যাক, সবচেয়ে উত্তেজক বিষয়ে। ২০০১ সালে ব্যবসায় সফল বলিউড চলচ্চিত্র ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ মুক্তির পর সবাই বলাবলি করেছে যে ভারতীয় জাতীয় দলের জনপ্রিয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এ চলচ্চিত্রের একটি অংশজুড়ে ছিলেন। কিন্তু এ গুঞ্জনকে একেবারেই ভুল বলে আখ্যা দিয়েছেন এ চলচ্চিত্রের প্রযোজক যশ জোহর।
তবে এ সিনেমা দেখার আগে কেবল ট্রেলার দেখে অনেকেরই ধারণা হয়, এ চলচ্চিত্রে বুঝি শচীন টেন্ডুলকারের কোনো ঘটনা রয়েছে।
আবার অনেকে বলেছেন, শচীনকে নাকি কিছুক্ষণের জন্য দেখাও যাবে এ চলচ্চিত্রে। এ প্রসঙ্গে যশ জোহর সাফকথা বলেছেন, ‘খুব ভালো হতো যদি এ চলচ্চিত্রে অভিনেতা হিসেবে শচীন টেন্ডুলকার থাকতেন, তবে তিনি ছিলেন না!’
আরএম-১৬/২৮/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)