সৎ ও নামাজি পাত্র খুঁজছেন কণ্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা

সৎ ও নামাজি

পপ, রক, ধ্রুপদি সংগীতসহ প্রায় সব ধরনের গানেই স্বাচ্ছন্দ্য বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়ার। নিয়মিত স্টেজে পারফর্ম করেন। তবে ২০১২ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গানভিত্তিক শো ‘পাওয়ার ভয়েস’-এ অংশগ্রহণ করে রানার্সআপ হন। সেই থেকে প্রচারের আলোয় তিনি। অনেক মিক্স অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান। বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও গেয়েছেন।-এনটিভি

কর্ণিয়ার দেশের বাড়ি ঝিনাইদহ হলেও জন্ম নানার বাড়িতে, মাগুরায়। কিন্তু বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরেই। এখানেই লেখাপড়া, গানবাজনা সবকিছু। মায়ের কাছেই গানের হাতেখড়ি। সম্প্রতি নিজের প্রিয়-অপ্রিয়, প্রেম-বিয়ে ইত্যাদি নিয়ে খোলামেলা হয় এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে। কর্ণিয়া বলেন, প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন কলেজ জীবনে। মজার ব্যাপার হলো, যাঁর কাছ থেকে প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলেন, তাঁকে মনে মনে পছন্দ করতেন এ সংগীতশিল্পী।

“প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলাম কলেজে। আর সেটা ফ্লপিতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আগে তো ফ্লপির একটা ব্যাপার ছিল, কম্পিউটারে। ফ্লপিতে আমার একটা ফ্রেন্ড আমাকে বলে যে, ‘আমি চলে যাওয়ার পর তুমি এটা খুলে দেখবা।’ তো ও চলে যাওয়ার পর আমি খুলে দেখি ও প্রস্তাব দিয়েছে। সেটা দেখে খুশি হয়েছিলাম, কারণ আমিও মনে মনে তাকে পছন্দ করতাম,’ বলেন কর্ণিয়া। তবে নিজ থেকে কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দেননি কখনো। অনেককে ভালো লাগলেও আজতক নাকি কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দেননি কর্ণিয়া, কারণ যদি তিনি সাড়া না দেন। এই ভয়ে প্রস্তাবই দেওয়া হয়নি তাঁর।

প্রেমিক বা স্বামী হতে হলে তাঁর কী কী গুণ থাকা চাই? উত্তরে তারকা কণ্ঠশিল্পী কর্ণিয়া বলেন, অবশ্যই তাঁকে সৎ হতে হবে। ‘যেহেতু মুসলমান আমি, সেজন্য আমি বলব, সে যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করে। সেটা আমার খুব ভালো লাগে। কারণ আমি আমার বাবাকে দেখে এসেছি, বড় মসজিদে গিয়ে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। সো, তাঁর মতো ভদ্র ছেলে আমিও খুঁজি; আমার বাবা ছিলেন খুব শান্ত একটা ছেলে। সো ওইটাই আমি মনে মনে চিন্তা করি, আমার হবু স্বামী যদি খুব ভদ্র হয়, শান্ত হয়; নম্র-ভদ্র এবং অবশ্যই সৎ যেন হয়।’ বলেন কর্ণিয়া।

এ কণ্ঠশিল্পী আরো বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা যেদিন চাইবেন সেদিনই বিয়ে হবে। এটা হুট করেই হবে।’

ছোটবেলায় কর্ণিয়ার প্রিয় রং ছিল সাদা। বড় হওয়ার পর কালো। ‘কিন্তু এই মুর্হূতে আমার অনেক কালারফুল জিনিস, যেমন হলুদ, লাল, গোলাপি—এই ধরনের শকিং কালারগুলো বেশি ভালো লাগে,’ বলেন কর্ণিয়া। পশ্চিমা পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্য কর্ণিয়ার। কারণ হিসেবে বললেন, ‘আমার কাছে এটা শর্টকাট লাগে। যেমন কোনো একটা জায়গায় যাব, জিন্স আর টপ পরেই চলে গেলাম।’ শাড়িও পছন্দ কর্ণিয়ার। সাধারণত মা তাঁকে শাড়ি পরিয়ে দেন।

কর্ণিয়ার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। বর্তমানকে ভবিষ্যৎ বলে মান্য করেন। জানান, আজীবন গানের সঙ্গে থাকতে চান। আর তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভক্তদের প্রতি একটি অনুরোধ—‘পোশাক দেখে কাউকে বিচার করবেন না।’

আরএম-১০/১৭/০৯ (বিনোদন ডেস্ক)