জায়েদ খানের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন অমিত হাসান

জায়েদ খানের

২০১৭ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। আসন্ন ২৫ অক্টোবর নির্বাচনেও মিশা-জায়েদ এক হয়ে প্যানেল দিয়েছেন। তবে এবারের প্যানেলে নেই আগেরবারের সত্তর ভাগ সদস্য।

জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নানা বিতর্কিত আচরণে বিরক্ত হয়ে তারা এবার মিশা-জায়েদের প্যানেল থেকে সরে গেছেন। অন্যদিকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মৌসুমী ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ইলিয়াস কোবরা মনোনয়ন কিনেছেন।

সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আমরা শিল্পীদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত ২ বছর আমরা শিল্পীদের পাশে ছিলাম। শিল্পী সমিতির অনেক উন্নয়ন ইতোমধ্যে হয়েছে যা সবাই দেখেন। আশা করি আগামীতেও আমরা এইভাবে কাজ করে যাবো।

বিগত কমিটির কথা তুলে এই নায়ক বলেন, আমরা জানি বিগত সময় অমিত হাসান টাকার বিনিময় সদস্যপদ বিক্রি করেছে। আমরা সেটা করছি না। আমরা আমাদের নিয়োম-কানুন মেনে কমিটি পরিচালনা করছি।

জায়েদ খানের এমন মন্তব্যের কড়া জবাবে নায়ক অমিত হাসান বলেন, আমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় কি করেছি তার হিসেব জমা দিয়েছি। এতদিন কেন এ কথা বলা হয়নি? আর এখন কেন বলা হবে? টাকার বিনিময় যদি সদস্যপদ দিয়ে থাকি তাহলে সেই টাকা তো আমি শিল্পী সমিতির উন্নয়নে ব্যায় করেছি। আমার একক সিদ্ধান্তে সদস্যপদ দেয়া হতো না। কমিটির সভাপতি ও সকল সদস্যদের সম্মতিতে এই পদ দেয়া হয়।

অমিত হাসান আরও বলেন, আমার নামে এই ধরণের অপপ্রচার না চালানো জন্য বলবো জায়েদকে। অন্যথায় আমি আইনানুক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এর আগে, গত শুক্রবার বিদায়ী শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান প্যানেলের কমিটির এই সভায় কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বের হয়ে যান বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ।

জানা যায়, শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব চত্বরে শুক্রবার এজিএমের ডাক দেন। কিন্তু কমিটির চল্লিশ ভাগ সদস্যও এই এজিএমে উপস্থিত ছিলেন না।

আরএম-০৮/১৩/১০ (বিনোদন ডেস্ক)