পলাশ আর আমি স্বামী স্ত্রী নই, হোটেলকর্মী সেই পরিচালককে নিয়ে এলিনা শাম্মী

পলাশ আর

এ সময়ের অন্যতম তরুণ পরিচালক অরণ্য পলাশ নির্মাতা হিসেবে পরিচিত হলেও এখন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছেন হোটেল বয় হিসেবে। ‘সিনেমা বানিয়ে নিঃস্ব পরিচালক এখন হোটেল বয়’- এমন শিরোনামের সংবাদটিই এখন আলোচনায়।

জানা গেছে, ‘গন্তব্য’ নামে একটি ছবির কাজ শেষ হলেও শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি দিতে পারেননি। অথচ ছবির জন্য সবকিছু বিক্রি করে তিনি এখন নিঃস্ব। বেঁচে থাকার তাগিদে তিনি একটি হোটেলে ২৫০ টাকা রোজ মজুরিতে কাজ করছেন।

সিনেমার মাঝপথেই ছেড়ে চলে যান ছবির প্রযোজক। বাধ্য হয়ে সেই ছবি শেষ করতে গিয়ে গ্রামের বাড়ির জমি বিক্রি করেন অরণ্য। তাতেও অর্থের জোগান না হওয়ায় সুদের ওপর ঋণও নেন তিনি। অবশেষে ছবি শেষ হয়। সেটি সেন্সরও পায়। তবে মুক্তি দিতে পারছিলেন না। একটি টিভি চ্যানেলের কাছে ছবিটি বিক্রির কথা হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। সেই ছবি মুক্তির স্বপ্ন বুকে নিয়ে অমানবিক দিনযাপন করছেন তিনি।

এদিকে মিডিয়ায় এসেছে, পলাশের স্ত্রী এলিনা শাম্মী। তিনি থাইল্যান্ডে ছিলেন। সম্প্রতি ফিরেছেন দেশে। স্বামী হোটেলে কাজ করে জীবন ধারণ করেন আর স্ত্রী বিদেশ ঘুরেন। বিষয়টা কী? প্রশ্নটা শুনেই বিরক্ত হন এলিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা তো স্বামী স্ত্রী নই! কে বলেছে এসব কথা। যদি পলাশ বলে থাকে তবে সে আমাকে তার নাটকের চরিত্র বানিয়েছে। আমি ছিলাম ওর সিনেমায় ব্যবসায়িক পার্টনার।

সিনেমা নির্মাণ করতে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আমি দিয়েছি ৪৫ লাখ। ও দিয়েছে বাকিটা। আমি ওর স্ত্রী হতে যাবো কেন? ওর স্ত্রী থাকলে সেটা অন্য কেউ। আমাদের সম্পর্কটা কেবলই ব্যবসার। আমি অতো কিছুর ব্যাখ্যা দিতে চাই না। ছবিতে লগ্নি করেছি। সেই ছবির মুক্তি দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ছবিটি তৈরি। ভালো গল্প। এজন্যই লগ্নি করতে সাহস করেছিলাম। এমন হবে তা কে জানতো!’

এলিনা শাম্মী আরও বলেন, ‘প্রথমদিকে সিনেমাটির প্রযোজক অন্য কেউ ছিল। মাঝপথে ছবিটির প্রযোজক পালিয়ে গেলে আমি আগ্রহী হই এর গল্প শুনে। ১৫ লাখ টাকা দেই অরণ্যকে। পরে ধাপে ধাপে ৪৫ লাখ টাকা খরচ করেছি এই সিনেমার জন্য।

এরপরও ছবির অনেক কাজ বাকি ছিল। আমার জানামতে সেগুলো দিয়েছে অরণ্য পলাশ। আমার রাগ আছে। কারণ হলো ছবির বড় অংশের টাকা দিয়েও প্রযোজক আমি হতে পারিনি। পলাশ এটি নিবন্ধন করিয়েছে তার নামে।

এখন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। ছবিটি মুক্তি পেলেই আমি খুশি। এটা খুব জরুরি। কারণ এখানে আমার ৪৫ লাখ টাকা পড়ে আছে। তাছাড়া অরণ্য পলাশেরও যখন বাজে অবস্থা তারও একটা ব্যবস্থা হোক। আমি কোনো নোংরামি চাই না।’

এদিকে এ প্রসঙ্গে একমত ছবির নির্মাতা অরণ্য পলাশও। তিনি বলেন, ‘এলিনাকে নিয়ে কথা বলতে চাই না আমি। সে আমার ব্যবসায়িক পার্টনার। এই ছবিতে তার টাকা আছে। ছবিটি মুক্তির ব্যবস্থা হলেই আমি বাঁচি।’

‘গন্তব্য’ ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, আইরিন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুলসহ আরও অনেকে। ছবিটির জন্য এসব শিল্পীরাও নামে মাত্র পারিশ্রমিক নিয়েছেন। কেউ কেউ বিনা পারিশ্রমিকে সিনেমায় কাজ করেছেন বলেও জানা গেছে।

আরএম-০৮/৩০/১০ (বিনোদন ডেস্ক)