চিত্রকর্মীদের খামোকা ব্যস্ততার আড়ালে

চিত্রকর্মীদের

যেহেতু এফডিসির ফ্লোরে বা চত্বরে কোনো চলচ্চিত্রের শুটিং তেমন একটা নেই, তাহলে চিত্রকর্মীদের ব্যস্ততা কী নিয়ে? এফডিসিতে প্রবেশ করলেই শোনা যায়, তারা ব্যস্ত আছেন নির্বাচন, খেলাধুলা, বনভোজনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে। শত্রুভাবাপন্ন হলে নির্বাচন প্রার্থীদের পোস্টার ছেঁড়ার কাজ নিয়েও তাদের কেউ কেউ ব্যস্ত থাকেন।

অন্যদিকে মাত্র ১১ হাজার টাকায় প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্যপদ দিয়ে নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করা হচ্ছে প্রযোজকদের। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির এই উদ্যোগও সফল হবে না বলে কেউ কেউ মনে করছেন। কারণ যে বিনিয়োগকারী কোটি টাকা লগ্নী করতে পারেন, তিনি এক লাখ দুই হাজার টাকার জন্য গলা শুকাননা। প্রকৃতপক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবেশ তৈরি করতে হবে আগে।

একটি ছবি নির্মাণ করে পরিবেশনার জন্য কাকরাইল পাড়ায় গেলে লগ্নীতো ফেরত পানই না, উল্টো আরও পকেট থাকা অর্থ ব্যয় করে বাড়ি ফিরতে হয়। এর থেকে নির্মাতাদের পরিত্রাণ পেতে হবে এবং সিনেমা হলের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনে যেসব মৌলিক সমস্যা রয়েছে সেগুলোর সমাধান করতে হবে।

তাহলে লগ্নীকে নিরুৎসাহিত করা হলেও নতুন নতুন প্রযোজকরা এগিয়ে আসবেন। বিনিয়োগকারীরা চান লগ্নীর নিশ্চয়তা। সেটা শুধু চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। এটাই পুঁজির চরিত্র। বিষয়টাকে সে আলোকেই বিবেচনা করতে হবে। রয়েছে তারকা সংকট। কাকে নিয়ে ছবি বানাবেন নির্মাতারা?

তারুণ্যদীপ্ত কোনো নির্ভরশীল তারকা নেই। প্রযোজক পরিবেশক সমিতি অনুমোদিত সতেরটি ছবির জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছে।

সেটা কোনো প্রযোজককে বেকায়দায় ফেলার জন্য নয়, দ্রুত ছবি শুরু করার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে গতিশীল করে তোলার জন্য। কিন্তু এতোগুলো ছবি যদি একসঙ্গে শুরু হয়, তাহলে তারকা বা বাজার কাটতি শিল্পী পাওয়া যাবে কোথায়?

নতুনদের নিয়ে ছবি শুরু করলেও তাদের চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে পরিচিত করে তোলার উদ্যোগ কোথায়? একজন মৌসুমী, শাবনূর বা পপিকে চলচ্চিত্র শিল্প তৈরি করেনি। তারা ছবিতে কাজ শুরু করার আগে বা শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। তারা জন্মদিন পালন করে ছবি ছাপতে দেননি গণমাধ্যমে। তারা আলোচিত হয়েছেন নানা দৃষ্টিকোণ থেকে। সেই মন-মানসিকতা এখনকার নবাগতদের নেই। যারা আসেন তাদের সংশ্লিষ্ট নির্মাতারা আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন।

আরএম-১৫/৩১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)