ছেলের লাশ দেখেই সামিরাকে লাথি মারেন সালমানের মা

ছেলের লাশ

ছেলের আত্মহত্যার পর তার লাশ দেখেই পুত্রবধূ সামিরাকে লাথি মারেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। সালমানের মায়ের যে সামিরার প্রতি অনেক ক্ষোভ ছিল তা বারবার প্রকাশ হয়।

দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এমনটিই জানিয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সামিরার সঙ্গে সালমান শাহর সম্পর্ক প্রথম থেকেই মেনে নেননি তার মা নীলা চৌধুরী। আর এ কারণে কয়েকবার আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিলেন সালমান শাহ।

পরে সালমান-সামিরা বিয়ে করলেও তার মায়ের সঙ্গে থাকেননি। কারণ নীলা চৌধুরী সামিরার গায়ে হাত তুলতেন। আর এ কারণে সালমান নিজেই সামিরাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আলাদা থাকতেন।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া ঘটনার দিন, সালমানের গলার ফাঁস থেকে ছাড়িয়ে আনার পর বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে সালমান শাহকে ধরাধরি করে পাশের বেডরুমে শোয়ানো হয়।

সামিরা মাথায় পানি দেন, ডলি ও মনোয়ারা তেল গরম করে সালমানের বুক, হাত ও পায়ে মালিশ করেন। খবর পেয়ে দারোয়ান দেলোয়ার সালমান শাহর ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন। এর পর সালমানের বাবা, মা ও ভাইসহ অন্য স্বজনরা ছুটে আসেন।

এ সময় সালমানের মা রুমে প্রবেশ করেই সামিরাকে লাথি মেরে বলেন, তুই আমার ছেলেকে হত্যা করেছিস! এর পর সালমানের ভাইও তার গায়ে হাত তোলেন।

প্রসঙ্গত রুপালি পর্দার সালমান শাহর আনুষ্ঠানিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিলেটের জকিগঞ্জে নানাবাড়িতে ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তার জন্ম।

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ড. মালেকা সায়েন্স ইনস্টিটিউট থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা ইমন ১৯৯২ সালে বিয়ে করেন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ীর মেয়ে সামিরাকে। তখন তার বয়স ২২ বছর।

মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এর একটি চরিত্র দিয়ে ইমনের অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু। মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের চলচ্চিত্র-জীবনে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা সালমান শাহ ঢাকাই সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।

নব্বইয়ের দশকে যারা বয়সে ছিলেন কিশোর-তরুণ, তাদের অনেকের হৃদয়েই সালমান শাহ বাংলাদেশের ‘সেরা রোমান্টিক অভিনেতা’ হয়ে থাকবেন।

আরএম-০১/২৬/০২ (বিনোদন ডেস্ক)