জ্বর ও শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। গতকাল (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদের ব্যক্তিগত সহকারী মোশাররফ আজমি।
এক সপ্তাহ ধরে ফেরদৌস ওয়াহিদ জ্বরে ভুগছেন। কয়েকদিন আগে নগরীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হলে রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়েছে। আজ (২১ আগস্ট) রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মোশাররফ।
মোশাররফ আজমি বলেন—জ্বরের কারণে খাওয়া-দাওয়ার রুচি কমে গিয়েছে, ফলে শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আজ (২০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে সংগীতশিল্পী ও ফেরদৌস ওয়াহিদের বন্ধু ফকির আলমগীর তার ফেসবুকে লিখেন—এ দেশের পপ গানের কিংবদন্তি শিল্পী ,আমার বন্ধু চিরসবুজ তারুণ্যের প্রতীক, ফেরদৌস ওয়াহিদ অসুস্থ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি আছেন। তার একান্ত সহকারীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ফেরদৌস ওয়াহিদের প্রথম কোভিড-১৯ পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। আবারো তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট এখনো আসেনি।
সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে ফকির আলমগীর আরো লিখেন—সতীর্থ শিল্পী, ভক্ত অনুরাগী শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি।
৬৭ বছর বয়েসি এ সংগীতশিল্পী কয়েক বছর ধরে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফেরদৌস ওয়াহিদের পুত্র সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নেওয়ার মধ্য দিয়ে গানের যাত্রা শুরু করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। পরবর্তীতে লোকসংগীতের তালিম নেন আব্দুল আলিমের কাছে। ক্লাসিক্যাল গানের তালিম নেন ওস্তাদ ফজলুল হকের কাছে। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।
গান গাওয়ার পাশাপাশি নায়ক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। ‘আসামী হাজির’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। এটি পরিচালনা করেন দেওয়ান নজরুল। ফেরদৌস ওয়াহিদের গাওয়া চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য গান হলো— ‘আমি এক পাহারাদার’, ‘শোন ওরে ছোট্ট খোকা’, ‘ওগো তুমি যে আমার কত প্রিয়’ প্রভৃতি।