‘অন্তরালে’ থেকে পরীকে বাদ দেওয়া হবে কিনা জানালেন চয়নিকা

চয়নিকা চৌধুরী ও পরীমনির মধ্যে যে সখ্য রয়েছে, তা সবারই জানা। চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমনি। উত্তরা বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমনির পাশে ছায়ার মতো দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এবার পরীমনির ঘটনায় সমালোচিত হলেন এই নির্মাতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলের শিকার হয়েছেন তিনি।

চয়নিকা চৌধুরী নির্মিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার নায়িকা ছিলেন পরীমনি। এই নির্মাতার ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র জন্য সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হন পরীমনি। এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু অভিনেত্রী গ্রেপ্তার হওয়ায় তা এখন অনিশ্চয়তায়। পরীমনি এখন রিমান্ডে থাকায় ওয়েব ফিল্মটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হবে কিনা- এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন চয়নিকা চৌধুরী।

তিনি বলেন, আসলে এ ওয়েব সিরিজের কাজের বিষয়টি আমার একার উপর নির্ভর করছে না। যদি আমি একা হতাম, তবে আমি বলতাম যে পরীমনির জন্য অপেক্ষা করবো। তবে আমি এখনও বলছি, অপেক্ষা করবো। ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে অনেক রিহার্সেল করা হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এটি নিয়ে ভাবছি না। এখনও পর্যন্ত পরীই আমার মাথায় আছে।

চয়নিকা আরও বলেন, তারপরেও এখানে প্রডিউসার বলে একটা মহল আছে। তারাও কিন্তু কিছু ভাবছে না যে পরীকে বাদ দেওয়া হবে কিনা। আমাদের কারও মাথাতেই বর্তমানে এটা নেই। কিন্তু পরীমনির সমস্যার বিষয়টা যদি অনেক লম্বা হয় যে এক বছর বা দেড় বছর সময় লেগে যায়, তখন আমি এর মধ্যে অন্য একটা কাজ হাতে নেবো। কিন্তু এর মধ্যে আমি ‘অন্তরালে’ হাতে নেবো না। তার পর যদি আরও লম্বা সময় হয়, তবে সেটা সময় সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত অন্তালের অর্পা চরিত্রটাতে পরীকেই দেখতে পাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয় পরীর বিরুদ্ধে। ওইদিনই সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় পরীমনিকে। তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পরীমনি। জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত তিনি। নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য নিজের ফ্ল্যাটে মিনি বার স্থাপন করেছেন। পরীর বারে বিদেশি মদ থাকত। সেগুলো সরবরাহ করত নজরুল রাজ।

এর আগে বুধবার বনানীর বাসা থেকে আটক করা হয় পরীমনিকে। র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায় তার বাসায়। এরপর থেকে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শোনা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন পরীমনি। বিশেষ লোকদের ডাকে শুটিং সেট থেকেও চলে গিয়েছিলেন এ নায়িকা। দেশের বাইরে ঘুরতে যেতেন তাদের আশীর্বাদ নিয়ে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরীকে দামি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। সবশেষ দুবাই ভ্রমণ করেছেন ওই চেয়ারম্যানের কল্যাণেই।

এসএইচ-১৫/০৬/২১ (বিনোদন ডেস্ক)