তারকাদের স্মৃতিতে নায়ক সালমান শাহ

সালমান

২৫ বছর পূর্ণ হলো নব্বই দশকের তারকা চিত্রনায়ক সালমান শাহ নেই। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নেন এ নায়ক।

এরপর সময় গড়িয়েছে বহু। চলচ্চিত্রে হয়েছে নানা উত্থান পতন, কিন্তু বিন্দুমাত্র কমেনি সালমানের জনপ্রিয়তা! বরং দিনকে দিন আরো বেড়েছে। তার মৃত্যুর পরে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে, তাদের কাছেও পৌঁছে গেছেন অমর নায়ক সালমান শাহ।

জন্ম কিংবা মৃত্যু দিনে তাই সামাজিক মাধ্যমে এখনও ট্রেন্ডিংয়ে থাকেন সালমান। সাধারণ ভক্ত অনুরাগী থেকে শুরু করে তার সমকাল বা পরের প্রজন্মের অভিনেতাদের কাছেও স্মরিত হন এই স্বপ্নের নায়ক! এবারও হলো না তার ব্যতিক্রম-

ওমর সানী:

ওপারে ভাল থেকো তুমি। আজকের প্রয়াণ দিবসে তোমাকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আল্লাহ যেন তোমাকে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সৌভাগ্য দান করেন।

শাকিব খান:

একজন শিল্পীর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা ভুলতে শুরু করেন। তবে ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর ক্ষেত্রে সেটা একেবারে বিপরীত! অকালে চলে যাওয়ার ২৫ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা আজও আকাশচুম্বী।
৯০ এর দশকে চলচ্চিত্রে সালমান শাহর আবির্ভাব তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছিল। ভক্তদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মানুষরাও তার স্মৃতিগুলো এখনও লালন করেন। তাই আমার কাছে সালমান শাহ হলেন ভাটির আগে উজানের ঢেউ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো চলচ্চিত্র মাধ্যমটি আরও বর্ণিল করতে পারতেন।

শিল্পীর ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। অনুপ্রেরণা থেকে শিল্পীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। সালমান শাহর অভিনয় দেখে, তার সিনেমা দেখে আমারও সেই অনুপ্রেরণা হতো! একটা প্রজন্মের কাছে আইডলে পরিণত হয়েছিলেন সালমান শাহ নামের সেই পরশ পাথর, যার ছোঁয়ায় বাংলা চলচ্চিত্রে বিপ্লব ঘটেছিল।

তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের এমন ধ্রুবতারা যিনি দূর আকাশে অবস্থান করেও আলোকিত করেন মানুষের হৃদয়। তার মৃত্যুদিন এলে তাই স্বভাবতই আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। আবার কিছুদিন পরেই আসে তার জন্মদিন; তখন আবার এই ভেবে ভালো লাগে যে সালমান শাহ স্বল্পায়ু হলেও অন্তত বাংলাদেশে জন্মেছিলেন সেটাই আমাদের সৌভাগ্য।

২৫ তম প্রয়াণ দিবসে প্রিয় নায়ক সালমান শাহকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আমাদের সালমান শাহ …

আরেফিন শুভ:

We still miss you my king

নিরব:

৯০ দশকে আপনি চলচ্চিত্রে এসেছিলেন হ্যালীর ধূমকেতুর মতো! সিনেমাতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন…
পর্দায় পোশাক-পরিচ্ছেদ, সংলাপ বলার ধরণ, অভিনয় দক্ষতা সবকিছু মিলিয়ে একজন দর্শক হিসেবে আমার মনে স্থান করে নিতে সময় লাগেনি। মৃত্যুর ২৫ বছর পরেও বাংলা সিনেমার সর্বসেরা ‘রোমান্টিক হিরো’দের তালিকায় আপনার স্থান উপরে।

স্পষ্ট মনে পড়ে রাজবাড়ীর পাংশার নূপুর সিনেমা হলে জীবনে প্রথম আপনার “জীবন সংসার” সিনেমা দেখেছিলাম। পর্দায় আপনাকে দেখে নায়ক হওয়ার ইচ্ছে সেদিনই প্রথম জেগেছিল। আহ কী সেই নায়ক, কী তার অভিনয়, কী তার স্টাইল।

২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ভালো থাকুক আমাদের অমর নায়ক সালমান শাহ..

ইমন:

আজ অমর নায়ক সালমান শাহ্ এর ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

শ্রদ্ধা ভালবাসা আজীবন

অপূর্ব:

আজ প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ – এর ২৫তম মৃত্যুুবার্ষিকী। কিংবদন্তীর কখনো মৃত্যু নেই৷ শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি এই কিংবদন্তী নায়ককে।

মেহজাবীন চৌধুরী:

আজ অমর নায়ক সালমান শাহ্ এর ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের এই দিনে ক্ষণজন্মা এ নায়ককে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

মৃত্যুর ২৫ বছরেও যার আবেদন এতটুকুও ফুরোয়ই নি, তিনি-ই আমাদের সালমান শাহ্। তিনি ভক্ত ও দর্শকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন হাজার হাজার বছর।

বাপ্পী চৌধুরী:

সালমান শাহ; একটি ভরসার নাম, একটি দীর্ঘশ্বাসের নাম।

২৫ টি বছর পেরিয়ে গেছে তিনি নেই। আসলেই কি নেই?

তার স্টাইল, কথা-বার্তা, চলন, হাসি, রুচিবোধ সবকিছুতেই যেনো রাজত্বের ছাপ। এফডিসিতে যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারা সবাই বলেন, মানুষ হিসেবেও তার তুলনা তিনি নিজেই। প্রিয় মানুষ নিয়ে বেশী লেখা যায় না; শব্দগুলো দীর্ঘশ্বাসের মতন কেমন যেনো ভারী হয়ে আসছে। তবে এই মুহুর্তে একটি গানের কথা বেশ মনে পড়ছে, “ভালো আছি, ভালো থেকো। আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।” তাকে উদ্দেশ্য করে আমার এই ভালোবাসাও আকাশের পানে ছুঁড়ে দিলাম। তাই বলছি, প্রিয় সালমান শাহ; যেখানেই থাকুন, আমাদের ভালোবাসা নিবেন।।