বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবার পাকিস্তানের পর্দায়

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের কারো অজানা নয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। আর দখলদার পাকিস্তান লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে।

এবার নিজেদের কুকর্ম পাকিস্তান তুলে ধরছে তাদের ‘খেল খেল ম্যায়’ সিনেমায়-এমনই শোনা যাচ্ছে। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘খেল খেল ম্যায়’ সিনেমায় দুটি প্রজন্মকে দেখানো হবে। একটি প্রজন্ম যারা বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিল। এরপর পাকিস্তানে বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম আসল সত্যটা জানতে চায়।

১৯ নভেম্বর পাকিস্তানে মুক্তি পাবে ‘খেল খেল ম্যায়’ সিনেমা। অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখে সিনেমাটির প্রথম টিজার প্রকাশ পায়, আর তা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এতে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে।

সিনেমার টিজার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে অন্যরকম একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

বাণিজ্যিক ধারার এ সিনেমায় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের দুই জনপ্রিয় তারকা সজল আলী ও বিলাল আব্বাস খান।

সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা নির্মাতা নাবীল কুরেশি। নির্মাতার পাশাপাশি তিনি একজন গায়ক। গল্প লিখেছেন ফিজা আলি, মীর্জা ও নাবীল কুরেশি। এর প্রযোজকও ফিজা।

টিজারের ভিডিওর শুরুতেই এক বৃদ্ধের কণ্ঠে ‘অনুতাপ’ ভেসে ওঠে। তিনি বলেন, আমরা বুঝতেই পারিনি একটা স্ফুলিঙ্গ একটা জঙ্গল শেষ করে দিতে পারে।

আর ভিডিওর শেষে সজল আলীর তার বন্ধুদের বলতে থাকেন, কেন আমরা প্রশ্ন করি না? কেন একটি মিথ্যাকে আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? কেউ কেন প্রশ্ন করে না, আসলেই সেই সময়ে কী হয়েছিল? নাকি আমরা সেই চালের মধ্যে ফেঁসে গেছি, যা শত্রুরা চাইতো?

সিনেমায় বর্তমান প্রজন্ম হিসেবে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত কিছু শিক্ষার্থীদের দেখান হবে। তাদের মধ্যেই একজন সজল আলী। সিনেমার গল্পে দেখান হবে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এছাড়াও টিজারে দেখা যাচ্ছে সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্যধারণ হয়েছে ঢাকাতে। যার বেশিরভাগই ড্রোন ব্যবহার করে।

যদি বাংলাদেশে বিদেশি কোনো সিনেমার শুটিং করা হয় সেক্ষেত্রে অনুমতির প্রয়োজন হয়। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তানের কোনো প্রযোজক যোগাযোগ করেনি। মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খেল খেল ম্যায়’ সিনেমাটির বিষয়ে তিনি অবগত নন।

এসএইচ-১৭/০৫/২১ (বিনোদন ডেস্ক)