বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের যে অভিনেতা

দুই বাংলারই জনপ্রিয় তিনি। কাজ করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। সালমান শাহের অসমাপ্ত সিনেমা ‘বুকের ভিতর আগুন’ এ তার অভিনয় নজর কেড়েছিল সবার, এরপর ১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত পৃথিবী আমারে চায় না ছবির মধ্য দিয়ে।

আর তাইতো ডাক আসে ওপার বাংলা থেকেও। আর সেখানেও বাজিমাত করেন তিনি। তিনি আর কেউ নন বাংলা চলচ্চিত্রের সুদর্শন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ সবাই যাকে এক নামে চেনেন ফেরদৌস হিসেবে।

ভারতের চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনায় ফেরদৌস অভিনীত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় তার বিপরীতে দেখা গিয়েছিল ওপার বাংলার প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদীকে। এ সিনেমা মুক্তির পর দুই বাংলাতেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এ ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর কাজ করে গেছেন দুই বাংলাতেই। শুধু তাই নয়, মিট্টি নামে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন তিনি।

প্রায় দুই দশক চলচ্চিত্র ও নাটকে টানা অভিনয় করে গেছেন ফেরদৌস। তবে এখন তিনি নিয়মিত হয়েছেন বিভিন্ন রিয়েলিটি শো এর বিচারক হিসেবে। এ ছাড়া উপস্থাপক হিসেবেও অনবদ্য তিনি। প্রায় বেশিরভাগ অনুষ্ঠানেই এখন ফেরদৌসকে দেখা যায় উপস্থাপনায়।

অভিনয়ের জন্য মোট চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ফেরদৌস। এর মধ্যে ২০০৯ সালে চঞ্চল চৌধুরীর (মনপুরা) সঙ্গে যৌথভাবে গঙ্গাযাত্রা ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ফেরদৌস।

১৯৭৪ সালের ৭ জুন কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনা করলেও ফেরদৌস ক্যারিয়ার শুরু করেন র‍্যাম্প মডেল হিসেবে। এমনকি চলচ্চিত্রে আসার আগে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোতেও র‌্যাম্প ওয়াক করেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস সময় সংবাদকে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন এ অভিনেতা। একটি আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘মানিকের লালকাঁকড়া’, অন্যটি হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১: সেইসব দিন’।

এসএইাচ-১৪/০৭/২২ (বিনোদন ডেস্ক)