গোবিন্দ যে কারণে বেকার হয়ে পড়েন

বলিউডের নব্বই দশকের বড় পর্দা কাঁপানো জনপ্রিয় নায়ক গোবিন্দ। সেই সময়ে একাধারে এ নায়কের সিনেমা যেমন দর্শক সমাদৃত ছিল তেমনি ছিল ব্যবসা সফলও।

এ তারকার বয়স যখন মাত্র ২১ বছর তখনই কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলেন ৭৫টি হিন্দি সিনেমায়। টানা দীর্ঘ সময় পর্দা মাতিয়ে রেখেছিলেন এ নায়ক। ১৪-১৫ বছর ধরে ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা এ অভিনেতা একসময় হারিয়ে যান।

তবে বলিপাড়ায় কান পাতলেই এ ড্যান্সিং হিরোর অপেশাদারিত্বের কথা শোনা যায়। বি-টাউনের বহু প্রযোজক, পরিচালকের অভিযোগ, তিনি নাকি সময়মতো কাজে আসেন না। এমনকি দেখা করবেন বলে কথা দিয়েও সঠিক সময়ে দেখা করেন না।

বলিউডে গুঞ্জন শোনা যায়, অনুরাগ বসু ‘জাগ্গা জাসুস’ সিনেমাতে গোবিন্দকে নিয়ে কাজ শুরু করলেও মাঝপথে শুটিং থামিয়ে দেন। অবশ্য কেনো থামিয়েছিলেন ওই শুটিং তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

কোনো পরিচালকই তাকে আর কাজে নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানিয়েছেন, তিনি নিজের চেষ্টায় এত বছর ধরে ভালো কাজ করে এসেছেন, তবে কোনো অভিযোগ আসেনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তবে সময়ের সঙ্গে মানুষ বদলায়, তাদের মত বদলায়। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এ বদল সময়ই চোখে পড়ে।

গোবিন্দ এ-ও মনে করছেন, কেউ সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছলে অনেকেই চায় অন্ধকারে টেনে নিয়ে যেতে। তাই হয়তো আজ তাকে নিয়ে এ সব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এক সময় যাদের তিনি খুব কাছের মনে করেছিলেন, আজ তারাই এ সব মিথ্যা অভিযোগ আনছে বলে জানান গোবিন্দ।

এ নায়ককে নিয়ে আরও একটি ধারণা প্রচলিত আছে, গোবিন্দ নাকি যে অভিনেত্রীর সঙ্গে বেশি সংখ্যক ছবিতে সহ-অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন, তার সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে শোনা যায়। নীলাম কোঠারি, রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গোবিন্দর সম্পর্ক নিয়ে বহু জলঘোলা হয়। বড় পর্দার আড়ালেও গোবিন্দ তার সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন বলে বহু সংবাদ সংস্থা দাবি করে।

বর্তমানে এ অভিনেতাকে বড় পর্দার চেয়ে টেলিভিশন রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনেই বেশি দেখা যায়।

এসএইচ-২৮/১৩/২২ (বিনোদন ডেস্ক)