দক্ষিণ কোরিয়ার দেগু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেগু কালারফুল ফ্যাস্টিভ্যাল। দুইদিন ব্যাপী এ আন্তর্জাতিক ড্যান্স প্যারেড উৎসবে ছিল জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন। আন্তর্জাতিক এই উৎসবে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রণ পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার আরতি নৃত্যের মাধ্যেমে বাংলাদেশে সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।
শনিবার থেকে শুরু হয়ে রোববার দুই দিনব্যাপী চলে এ উৎসব। সেসময়টা পুরো রাস্তা শিল্পী এবং দর্শকদের দখলে ছিল। আন্তর্জাতিক এই উৎসবে কোরিয়ার বৃহত্তম প্যারেডে প্রথমবার আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ।
দেগু কালার ফেস্টিভ্যাল’-এ তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। বিশ্ববাসীর সম্মুখে বাঙালি আরতি নৃত্যের মাধ্যমে সংস্কৃতিকে তুলে ধরে রীতিমতো সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ও নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্তর নের্তৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল তুরঙ্গমী রেপার্টরি ডান্স থিয়েটারের নৃত্যশিল্পী ও তুরঙ্গমী স্কুল অব ডান্সের শিক্ষার্থীরা ফ্যাস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসবে তুরঙ্গমীর দুটি প্রযোজনা ‘পাঁচফোরণ’ ও ‘নন্দিনী’ মঞ্চস্থ হয়। ১০ মিনিট ও ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের প্রযোজনা দুটির ভাবনা, বিকাশ, নকশা, নৃত্যনির্মাণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত।
পূজা সেনগুপ্ত সময় সংবাদকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ড্যান্স প্যারেডে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে ‘পাঁচফোরণ’ ও ‘নন্দিনী’ আরতি নৃত্যের মঞ্চস্থ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করতে পেরে।
দেগু কালারফুল ফ্যাস্টিভ্যালে ১০ টি দেশের প্রায় ২ হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। এ ফ্যাস্টিভ্যালকে ঘিরে নানা আয়োজন করে থাকেন কোরীয় নাগরিকরা। করোনার কারণে গত ৩ বছর উৎসব না করতে পারায় এবারের থিম ছিল ‘দ্য রিটার্ন অফ দ্য ফেস্টিভ্যাল-এ কালারফুল ইজ ব্যাগ’। দুদিন জুংগাং ইন্টারসেকশন থেকে শুরু করে জংগাক ইন্টারসেকশন পর্যন্ত জায়গাজুড়ে বিশাল কনসার্ট হলে পরিণত হয়।
উৎসবটি দেগুর ইয়াংনিওংসি ওরিয়েন্টাল মেডিসিন কালচার ফেস্টিভ্যালের মতো দেগু শহরের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক উৎসব। তাই এটিকে রঙিন দেগু উৎসব বলা হয়। উৎসবের নামের প্রতীক রঙিন এবং এটি দেগু শহরের একটি স্লোগান।
এসএইচ-১২/২২/২২ (বিনোদন ডেস্ক)