‘লাভ টুডে’ মাত্র ৫ কোটি বিনিয়োগে ১০০ কোটির ব্যবসা

চলতি বছর যেন দক্ষিণি সিনেমার উত্থানের বছর। ‘আরআরআর’, ‘কেজিএফ টু’, ‘বিক্রম’ থেকে ‘সীতা রমম’—একের পর এক দক্ষিণি সিনেমা বক্স অফিসে বাজিমাত করেছে। শুধু বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, ‘কার্তিকিয়া টু’, ‘কানতারা’র মতো কম বাজেটের সিনেমাও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।

তবে তামিল ছবি ‘লাভ টুডে’ যেন সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। মাত্র ৫ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে। ২ ডিসেম্বর নেটফ্লিক্স মুক্তির পরও প্রশংসা পেয়েছে ছবিটি।

‘লাভ টুডে’ প্রদীপ রঙ্গানাথানের দ্বিতীয় সিনেমা। রোমান্টিক কমেডি-ড্রামা ঘরানার ছবি এর বিষয় ও নির্মাণের কারণে সমালোচকদেরও তারিফ কুড়িয়েছে। প্রখ্যাত তামিল পরিচালক অ্যাটলিও ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর মধ্যেই ভারতের বেশ কয়েকটি ভাষায় ছবিটির রিমেকর কথা হচ্ছে।

সিনেমার গল্প প্রদীপ ও নিকিতার প্রেম নিয়ে। ২৪ বছর বয়সী প্রদীপ চেন্নাইয়ের একটি কোম্পানির প্রকৌশলী। মা আর বড় বোনকে নিয়ে তাঁর সংসার। অন্যদিকে নিকিতাও প্রকৌশলী, তাঁর বাবা আইনজীবী। প্রদীপ ও নিকিতা তাদের সম্পর্ককে পরের ধাপে নিয়ে যেতে চায় মানে বিয়ে শাদির জন্য তৈরি হতে থাকে।

প্রদীপ একটু ইতস্তত করে কারণ জানে নিকিতার বাবা কড়া মেজাজের লোক; তিনি বিয়েতে রাজি হবেন কিনা। বিয়ের আলোচনার মধ্যে নিকিতার বাবা বেনু শাস্ত্রী এক অদ্ভুত প্রস্তাব দেন—তিনি বিয়েতে রাজি তবে বিয়ের আগে প্রদীপ ও নিকিতাকে এক দিনের জন্য নিজেদের মোবাইল ফোন অদল-বদল করতে হবে! এরপর দুজনের প্রতি দুজনের প্রেম যদি অটুট থাকে তবে তিনি বিয়েতে অমত করবেন না।

প্রদীপ ও নিকিতার রাজি না হয়ে উপায় ছিল না। কিন্তু প্রদীপ বুদ্ধি করে নিকিতাকে ফোন দেওয়ার আগে সব হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা মুছে দেয়। এরপর কী হয়, তাই নিয়ে ছবির গল্প এগিয়ে যায়।

সমালোচকের বলছেন সিনেমার বিষয় একেবারেই সমসাময়িক; এ কারণে তরুণরা ‘লাভ টুডে’ ব্যাপকভাবে পছন্দ করেছে।

‘লাভ টুডে’র প্রদীপ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচালক প্রদীপ নিজেই। এটিই তাঁর প্রথম অভিনয়। পরিচালনা, অভিনয় ছাড়াও সিনেমাটির গল্পও লিখেছেন তিনি। নিকিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভানা। ছবিতে কোনো বড় তারকা না থাকার পরও বিষয় বৈচিত্র্যের কারণে দর্শকপ্রিয় হয়েছে ‘লাভ টুডে’।

ছবির অভিনেতা ও পরিচালক প্রদীপ আগে চাকরি করতেন। নিজের গল্প বলতে চাকরি ছেড়ে সিনেমা বানাতে শুরু করেন। ২০১৯ সালে তাঁর প্রথম সিনেমা ‘কোমালি’ও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেছেন, প্রথমটির মতো দ্বিতীয়টিও যাতে মানুষ পছন্দ করে সে জন্য সব রকম চেষ্টাই তিনি করেছেন। সে চেষ্টা যে সফল হয়েছে বলাই বাহুল্য।

ছবিটির জন্য মাত্র ৭০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন প্রদীপ। পরে ছবিটি ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য পাওয়ায় পরে প্রযোজকেরা তাঁকে আরও ৮০ লাখ রুপি দিয়েছেন।

এসএ-২৯/১২/২২ (বিনোদন ডেস্ক)