অল্প ক’দিনেই আমাদের সম্পর্ক আগের রূপ নেয়

ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের সুপারহিট জুটি সালমান শাহ ও মৌসুমী। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হয়েছিল তাদের। তবে ছোটবেলা থেকেই একে অপরের পরিচিত ছিলেন তারা।

জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত ’-এর কপিরাইট কিনে এনে নতুন মুখের সন্ধান করতে থাকেন নির্মাতা। তিনি এমন দুজন নতুন মুখ চান, যাদের দেখে দর্শক আগ্রহ পাবে। সে সময় মৌসুমী ও সালমান শাহ’র সন্ধান পান সোহানুর রহমান সোহান। প্রথম সিনেমাতেই নিজেদের জাত চিনিয়েছিলেন এই জুটি। সিনেমাটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে।

শনিবার (২৫ মার্চ) অভিনয়জীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হলো মৌসুমীর। এদিন এক সাক্ষাৎকারে পুরনো স্মৃতিচারণ করেছেন নায়িকা। তিনি বলেন, প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ভয়ে কাঁপছিলাম। একটি দৃশ্য ছিল, একটা বাইকে সালমান আর আমি এফডিসি থেকে কাঁচপুর গেছি, আবার ফিরে এসেছি। প্রথম দিন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমাতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যধারণ করা হয়। এটা যে প্রেমের আদর্শ গল্প হয়ে যাবে, এই জুটি যে প্রেমের আদর্শ জুটি হবে, ভাবতে পারিনি।

সালমানের স্মৃতিচারণ করে প্রিয়দর্শিনী বলেন, তখন আমরা খুলনায় থাকতাম। ছোটবেলায় ইমন (সালমান শাহ) আর আমি প্লে ও নার্সারিতে একসঙ্গে পড়েছি। আমরা দুজনেই দুজনের বাসায় যাতায়াত করতাম। ভালো বন্ধুত্ব ছিল। হঠাৎ তারা ঢাকায় চলে আসে। এরপর সিনেমায় কাজ করতে এসে আবার আমাদের দেখা হয়। অল্প ক’দিনেই আমাদের সম্পর্ক আগের রূপ নেয়। নিজেদের সবকিছু একজন আরেকজনকে বলতাম।

সিনেমায় কাজ শুরুর আগে প্রথম দেখা প্রসঙ্গে মৌসুমী জানান, ধানমন্ডিতে ম্যাকডোনাল্ড চায়নিজ নামে একটি রেস্তোরাঁ ছিল। সেখানে পরিচালক সোহান ভাইয়ের সঙ্গে বসে নায়কের আসার অপেক্ষা করছিলাম। ঘাড় ঘুরিয়ে হঠাৎ দেখি কোচিংয়ের সেই ছেলেটা। এত বছর পর, এভাবে একজন লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি দেখে সে (সালমান শাহ) কী ভাববে, এটা ভেবে আমি মুখ লুকাই। এমন সময় সোহান ভাইকে বললাম, কই আপনার হিরো? এই ছেলেটা আপনার হিরো নাকি? তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে বললেন, এই ইমন (হাসি)। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার প্রতিটি গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম স্পর্শ করবে— এসব ভাবার মতো শক্তি আল্লাহ দেননি। এটা আল্লাহর দান।

এসএ-১৪/২৬/২৩ (বিনোদন ডেস্ক)