হোয়াটসঅ্যাপে প্রেম, যুবতীর সাথে বুড়ো মেয়রের কাণ্ড!

হোয়াটসঅ্যাপে প্রেম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার পরিজন-বন্ধুমহলের সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা মুহূর্ত আমরা সামাজিক মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিই।

পাশাপাশি শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক কাজেও ব্যাপকভাবে আমরা এগুলোর ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল। সামাজিক প্রয়োজন এবং জনমত-জনসচেতনতা তৈরিতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, এরপর প্রেম, বিয়ে। হরহামেশাই হচ্ছে এমন ঘটনা। তবে আজব ব্যাপার যে ঘটনাটি ঘটলো তা হলো- নিজের চেয়ে ৪ দশকের অর্থাৎ ৪০ বছরের ছোট নাতনির বয়সী ফিলিপাইনের এক যুবতীকে বিয়ে করেছেন ইংল্যান্ডের ফেনল্যান্ড শহরের ৫ বারের ডেপুটি মেয়র কিট ওয়েন (৭৩)। তিনি বিপত্নীক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসটাইম ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফিলিপাইনের যুবতী আইজা’র সঙ্গে তার পরিচয়। এক বছরের মাথায় সেই পরিচয় থেকে তাদের বিয়ে। আইজা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বৃটেনে চলে যান। সেখানেই তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন কিট ওয়েন। অসম এই বিয়ের খবর প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। কিট ওয়েনের বয়স ৭৩ বছর।

সব কথা অনেক দিন মনে রাখতে পারেন না। তবে এ কথা তার মনে আছে যে, তার নতুন স্ত্রী আইজা’কে খুঁজে পেয়েছেন ইন্টারনেটে। তবে কিভাবে তাকে প্রেমের বা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা স্মরণ করতে পারেন না তিনি। তবে এ দম্পতি খুব সুখে আছেন বলে জানানো হয়েছে।

মার্চ ইন কেমব্রিজশায়ারের ডেপুটি মেয়র বিপত্নীক কিট ওয়েন। তিনি তার নতুন স্ত্রীর বয়স প্রকাশ করতে চান না। তবে এতটুকু বলেছেন তার বয়স ত্রিশের কোটায়।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ফেসটাইম ও হোয়াটস্যাপে সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলার পর আমার মনে হয়েছে সব কিছু ঠিক আছে। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখা করা উচিত। এরপর আইজা’র সঙ্গে সাক্ষাত করতে তিনি চলে যান ফিলিপাইনে। এর আগে এক বছরের মধ্যে দু’জনের কারো সঙ্গে কারো দেখা সাক্ষাত নেই।

ফিলিপাইনে গিয়ে সেখানে আইজা’র পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কাটান অনেকটা সময়। তবে এ সময় আইজা’র সঙ্গে তার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। তারপর প্রস্তাব দিয়ে দেন আইজা’কে। আইজা’ তা মেনে নেন। ব্যাস সব ঠিকঠাক। টুরিস্ট ভিসায় বৃটেনে যান আইজা। সেখানে কিট ওয়েনের বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ইয়ে ওল্ডি গ্রিফিন হোটেলে। প্রথম দিনটি কিভাবে কাটে তাদের তা ক্যামেরাবন্দি করার জন্য ফটোশিকারিরা ছিলেন ওৎ পেতে। কিন্তু কিট ওয়েন সেক্ষেত্রে পর্দা টেনে দেন। তার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন শুধু পারিবারিক ও ঘনিষ্ঠ মাত্র ১০ জন সদস্য। কোন নাচ বা অন্য কোনকিছু ছিল না তাতে।

কিট বলেন, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধু খাবার ছিল। কিছু পানীয় ছিল। কোনো নাচ হয় নি। সামনের মে মাসে আবার মার্চ টাউন কাউন্সিলে নির্বাচন। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। কিট ওয়েনের দুটি সন্তান আছে। তারা হলো লিসা ও জোনাথন। এ দুটি সন্তানের মা বেভারলি ওয়েন মারা গেছেন ২০০৮ সালে।

আরএম-২০/১৩/০১ (অনলাইন ডেস্ক)