এই মুদ্রাটির বাজার মূল্য এখন এক কোটি টাকা!

এই মুদ্রাটির বাজার

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৮৩৯ সালের এক আনার একটি মুদ্রা পাবনা থেকে পাচারকালে চারজনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা জানিয়েছে, এক আনার এই মুদ্রাটির বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি টাকা।

রজব আলী, আব্দুল বারী, মনোয়ার হোসেন ও অ্যালেক্স এড্রিয়ান নামের ওই চার ব্যক্তি ৩৫ লাখ টাকায় যৌথভাবে মুদ্রাটি কেনেন। কোটি টাকায় বিক্রির আশায় বুধবার বিকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে ওই মুদ্রাটি নিয়ে পাচারকারী চারজন প্রাইভেট কারে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেয় ।

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছালে প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় ওই চারজন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাচীনকালের মুদ্রাটি উদ্ধার করে। তারা অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীন মুদ্রা, ম্যাগনেট ও কষ্টিপাথরের মূর্তি পাচারের ব্যবসা করে আসছিলেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ জানায়, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির দক্ষিণবাড়ী গ্রামের মো. রজব আলী। তিনি সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। তার ছোট ভাই মো. আব্দুল বারী অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসার শিক্ষক। একই উপজেলার বেরুলী গ্রামের পল্লী চিকিত্সক মো. মনোয়ার হোসেন তাঁদের ভগ্নিপতি। আর ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার শামীম গোমেজের ছেলে অ্যালেক্স এড্রিয়ান এই পাচার চক্রের সদস্য।

পাবনার সুব্রত নামের এক ব্যক্তি ১৮৩৯ সালের একটি মুদ্রা বিক্রি করবেন। এমন খবর পেয়ে ওই চারজন পাবনাতে যান। সেখানে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে সুব্রতর কাছ থেকে তারা প্রাচীন মুদ্রাটি ক্রয় করেন। এরপর মুদ্রাটি নিয়ে তারা রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে যান।

পাচারচক্রের সদস্য অ্যালেক্স এড্রিয়ান পুলিশ ও সাংবাদিকদের বলেন, প্রাচীন মুদ্রাটি কিনতে আমরা চারজন মিলে পাবনায় গিয়েছিলাম। সেখানে সুব্রত নামের এক লোকের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে মুদ্রাটি কিনেছি। ৩৫ লাখ টাকার মধ্যে আমি দিয়েছি ২০ লাখ। বাকি ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন রজব আলী।

এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রজব আলী বলেন, ঢাকায় নিয়ে যেতে পারলে ওই মুদ্রাটি আমরা এক কোটি টাকায় বিক্রি করতে পারতাম।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ধাতব পদার্থের তৈরি মুদ্রাটির এক পিঠে ইংরেজি অক্ষরে ‘ওয়ান আনা’, অন্য পিঠে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৩৯’ লেখা রয়েছে। মুদ্রাটি উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরএম-০৩/০৮/০২ (অনলাইন ডেস্ক)