স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৪ গৃহশিক্ষকের

স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করার দাবি তুলে শুক্রবার কোচবিহার জেলার চারজন গৃহশিক্ষক স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়ে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সরকারি স্কুলের শিক্ষিকরা চাকরির শর্ত মোতাবেক প্রাইভেট টিউশনি করতে পারেন না।

সেই আইন কড়াভাবে প্রয়োগ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। ইতিমধ্যে কোচবিহার শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকায় ৫৮ জন শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা ছেড়ে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে মুচলেকাও দিয়েছেন তাঁরা। তবে গৃহশিক্ষকের দাবি, জেলার ৯০ শতাংশ শিক্ষক এখনও প্রাইভেট টিউশন দেন।

শুক্রবার কোচবিহারের জেলাশাসক মারফৎ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন পাঠিয়েছেন চার গৃহশিক্ষক অমিতাভ কর, সংঘমিত্রা কর, দেবাংশু চট্টোপাধ্যায় এবং অমলেন্দু দাস। এদিন, কোচবিহার জেলাশাসকের দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। তারপরই জমা দেওয়া হয় আবেদনপত্র। গৃহশিক্ষকদের দাবি, এর আগে তাঁরা অনেকবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন, কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি।

এমনকী উত্তরকন্যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এর আগে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের তরফে, শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা না করার অঙ্গীকার করে মুচলেকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মাত্র ৫৮ জন শিক্ষক ওই মুচলেকা জমা দিয়েছেন।

কিন্তু, তাতেও কোনও ফল হয়নি। জেলার শিক্ষকরা এখনও প্রাইভেট টিউশন দিচ্ছেন। গৃহ শিক্ষকদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত অশিক্ষক কর্মচারী কোনও লাভজনক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। তা সত্ত্বেও জেলার শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছেন বলে ওই গৃহশিক্ষকদের অভিযোগ।

আপাতত চারজন গৃহশিক্ষক স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন। যদি এই আবেদন গ্রাহ্য না হয় তাহলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই ধরনের আন্দোলন হয়েছে। সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেন না। এই দাবিতে পথে নেমেছেন গৃহশিক্ষকরা।

এসএইচ-০৩/০৯/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন)