১৩২ বছর পরে বার্তা এসে পৌঁছল সাগরপাড়ে!

১৩২ বছর পরে

হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো টেকনোলজির চক্করে পড়ে বর্তমান প্রজন্ম চিঠি লিখতে ভুলেই গিয়েছে প্রায়। পোস্ট অফিস রয়েছে বিশ্বের সব জায়গাতেই। সেখানেও যে চিঠির আদান প্রদান হয়, তা কেবলই কেজো চিঠি।

‘মেল’ শব্দটি যেন এখন শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে রয়েছে। আজকের চিঠি ই-মেলের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডে পৌঁছে যায় গন্তব্যে।

এমনই সময় অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র পাড়ে ভেসে এল বোতলে ভরা এক প্রাচীন চিঠি। ১৩২ বছর আগের লেখা সেই চিঠিটি কোনও এক জাহাজের ক্যাপটেন লিখেছিলেন জার্মান দূতাবাসের উদ্দেশে। কিন্তু সেই চিঠি আজও পৌঁছয়নি তাঁর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে উত্তর পারথের সমুদ্র সৈকতে, ছেলের প্রেমিকার সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন টোনা ইলম্যান নামে এক মহিলা। তিনি সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে লক্ষ করেন একটি কালো-সবুজ রংয়ের বোতল। বোতলটি প্রায় ৯ ইঞ্চি লম্বা এবং ৩ ইঞ্চি চওড়া। তিনি বাড়ি এসে বোতলটি খুলতেই দেখতে পান হলদেটে একটি কাগজ। সেখানে জার্মান ভাষায় কিছু লেখা ছিল, যা তিনি পড়তে পারেননি। তবে সাল আর তারিখ বুঝতে পারেন টোনা ইলম্যান— ১৮৮৬ সালের ১২ জুন। জাহাজের নাম পাওলা।

মহিলা বোতলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে অস্ট্রেলিয়ার একটি মিউজিয়ামে যোগাযোগ করেন এবং তাদের হাতে সেটি তুলে দেন।

বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন, সমুদ্রের ঢেউয়ের ধরন নিয়ে সেখানে লেখা রয়েছে। তবে কেনই বা চিঠিটি বোতলে ভাসানো হয়েছিল সে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে ১৮৬৪ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত এমন অনেক বোতলবন্দি বার্তা পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

আরএম-০৫/০৯/০২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এবেলা)