টমেটোর জবাব পরমাণু বোমা! ভারতের টমেটো রফতানি বন্ধের জবাব পাকিস্তান পরমাণু বোমা দিয়ে দেবে? পাক প্রশাসন নয়, সে দেশের কোনও নেতা-মন্ত্রীও নয় এমন ‘হুমকি’ দিয়েছেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক। এমনকি, ‘মোদি-রাহুল গাঁন্ধীর মুখে’ টমেটো ছুড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন ওই সাংবাদিক। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল। কেউ সেই সাংবাদিককে খেতাব দিয়েছেন, ‘মিস্টার টমেটো’।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানকে দেওয়া মোস্ট ফেভার্ড নেশন বা সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা তুলে নিয়েছে ভারত। আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০ শতাংশ। তার জেরে ভারত-পাক বাণিজ্যে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানে তার চেয়েও বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে টমেটোতে। ভারতে মধ্যপ্রদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টমেটো ফতানি হয় পাকিস্তানে।
পুলওয়ামায় হামলার পরই সে রাজ্যের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাকিস্তানে আর টমেটো রফতানি করবেন না তারা। সরাকারি ঘোষণা না হলেও অলিখিতভাবে এ দেশ থেকে পাকিস্তানে টমেটো রফতানি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ।
এই নিয়েই পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে একটি টক শোয়ের আয়োজন করা হয়। নিউজ রুমে ‘লাইভ চ্যাট’-এ ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক ক্যায়সার খকন (সঞ্চালক তেমনই বলেছেন)। তার মতামত জানতে চান সঞ্চালক। তাতেই ক্যায়সার অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছেন। বারবার তিনি বলতে থাকেন, ভারত টমেটো রফতানি বন্ধ করে দিয়ে খুবই খারাপ (গন্দি) ও নিম্নরুচির (নিচ) কাজ করেছে। এই টমেটো তারা ‘মোদি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) এবং রাহুল গাঁন্ধীর মুখে ছুড়ে মারবেন’।
এরপরই তার হুমকি, সময় এসে গেছে, টমোটোর জবাব পরমাণু বোমা দিয়ে দেওয়া হবে। ভারতবাসী ও ভারতের মিডিয়াকে আমি বলতে চাই, পাকিস্তানে পরমাণু শক্তিধর দেশ। পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানিয়েছে শুধুমাত্র ভারতের জন্যই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও আপলোড হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরাও হাত ধুয়ে পড়ে যান ওই সাংবাদিকের পিছনে। টুইটের রিপ্লাই দিয়েছেন প্রায় ২২০০ জন। রিটুইট হয়েছে ২১০০’রও বেশি। তার অধিকাংশেরই হাসির পাত্র হয়েছেন ওই সাংবাদিক।
‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমায় পাক সাংবাদিক চাঁদ নবাব’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। রেল স্টেশনে পিটিসি রেকর্ড করতে গিয়ে বারবার যাত্রীদের বাধা পেয়ে ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হাসির খোরাক পেয়েছিলেন দর্শক। কিন্তু সেটা ছিল নিতান্তই সিনেমার প্রয়োজনে, তৈরি করা। বাস্তবেও যে পাক মিডিয়ায় চাঁদ নবাবের মতো সাংবাদিকরা রয়েছেন, সেটা প্রমাণ করলেন ক্যায়সার।
এসএইচ-০৭/২৪/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)