প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তরুণী। সঙ্গে থাকা চার যুবককেও গ্রেফতার করল পুলিশ। অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে আনা হয় বলেই উঠেছে অভিযোগ।
জানা গেছে, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর কাছারি পাড়ার বছর একুশের তরুণী। শেফালি রানি মহন্ত। তার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় নদীয়ার জেলার বাসিন্দা সত্যেন রানার। প্রেমের গল্প ধীরে ধীরে বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছায়। এরপরেই ছেলেটির কথামত মেয়েটি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে হিলি সীমান্ত দিয়ে।
হিলি থেকে একটি ছোট গাড়িতে চাপিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছিল নদীয়া জেলার বাসিন্দা সত্যেন রানা (২৬), অরুপ বিশ্বাস (২০), মহাদেব সরকার (২৮) এবং গাড়ির চালক আশিস বিশ্বাস (২৭)। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুরে গাড়িটি আটকায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মিলতেই যুবতী-সহ চার যুবককে গ্রেফতার করে।মঙ্গলবার তাদের বালুরঘাটের জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী বাংলাদেশি তরুণী জানান, বাংলাদেশে তার বাবার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। বিয়ে করবে বলে ছেলেটি তাকে ভারতে আসতে বলেছিল। সেইমতো ভারতে আসার পরিকল্পনা নেয় সে। বাড়ির ছাগল বিক্রি করে ছয় হাজার টাকা পায়। এরপর দালাল মারফত হিলি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকে।
বালুরঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে বিক্রি বা অন্য অসৎ উদ্দেশ্যে চারজন যুবক নিয়ে যাচ্ছিলো। তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এসএইচ-০৩/২৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)