মরুভূমিতে গোলাপের আদলে জাদুঘর

মরুভূমিতে গোলাপের

গোলাপের আদলে বিশাল আকৃতির মনোমুগ্ধকর জাদুঘর বানানো হয়েছে কাতারের মরুভূমিতে। প্রায় ১০ বছর সময় নিয়ে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে জাতীয় এ জাদুঘরটি। এ বছর ২৭ মার্চ বুধবার এটি উদ্বোধন করা হয়।

এর পরের দিন তা খুলে দেয়া হয় জনসাধারণের জন্য। জাদুঘরের স্থপতি ফ্রান্সের জেন নওভেল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির ল্যুর জাদুঘর নির্মাণের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা রয়েছে। প্রখ্যাত এ স্থপতি টুইটে বলেন, এই স্থাপনা ঐতিহ্যেরই প্রতিফলন।

জাদুঘরটির অবস্থান কাতারের রাজধানী দোহায়। সেখানকার একটি মরুভূমির ৫২ হাজার বর্গ মিটার জায়গার ভেতরে গোলাপের এই কাঠামো বসেছে। একইসঙ্গে স্থাপনাটি পড়েছে বিমানবন্দর থেকে শহরের কেন্দ্রস্থলে যাওয়ার পথে। সেজন্য দর্শকের উপস্থিতিও হবে বিপুল। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এটি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকবে এটা বলাই যায়।

এই জাদুঘর ভবনের নকশা চোখে পড়ার মতো। প্রবেশপথে ১১৪টি ভাস্কর্য রয়েছে। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ৯০০ মিটার লম্বা হ্রদ। রয়েছে আঁকাবাঁকা ছাদ এবং ৭৬ হাজার সুড়ঙ্গ। এগুলো ৩ হাজার ৬০০ আলাদা আকৃতি ও নকশার।

জাদুঘরের ভেতরে ১ হাজার ৫০০ মিটারেরও বেশি প্রশস্ত গ্যালারি রয়েছে। দর্শকদের জন্য রাখা আছে উনিশ শতকের কার্পেট। ওই কার্পেটটি ১৫ লাখ উপসাগরীয় মুক্তাখচিত। রয়েছে ১৮ শতকেরও আগের প্রাচীন কোরআন শরিফ।

জাদুঘরের পরিচালক শেখ আমনা বিনতে আবদুল আজিজ বিন জসিম আল থানি বিবৃতিতে বলেন, এটা এমন এক জাদুঘর, যা কাতারের জনসাধারণের কথা বলে।

আধুনিক কাতারের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে শেখ আবদুল্লাহ বিন জসিম আল থানির পুরনো রাজপ্রাসাদের পাশে জাতীয় জাদুঘরটি অবস্থিত।

কাতারের বেদুইনদের ইতিহাস এবং ধনীদের বর্তমান অবস্থার চিত্র জাদুঘরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সম্পদ সম্পর্কে ধারণাও দেয়া হয়েছে। স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন জাদুঘরটি কাতারের রাজনৈতিক পরিচয়ও বহন করে।

উপসাগরীয় এলাকায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেও কাতারের এই জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। আরবের উন্নয়নের নিদর্শন হিসেবে জাদুঘরটি নির্মিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাদুঘরটি ২০১৬ সালে উন্মুক্ত করার কথা ছিল। দেরিতে উদ্বোধন হওয়ায় স্বকীয়তা আরও ভালোভাবে প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে কাতার।

আরএম-১৯/০৯/০৪ (অনলাইন ডেস্ক)