কারাগারে একা সন্তান জন্ম দিলেন (ভিডিও)

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডা অঙ্গরাজ্যের ডেনভারের এক নারী শহর কর্তৃপক্ষ এবং শেরিফ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে বলেছেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে কোনো রকমের চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই তাকে একা একা সন্তান জন্ম দিতে হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই নারীর নাম ডিয়ানা সাঞ্জেস। তিনি এক অভিযোগে বলেছেন, গত বছর তাকে একটি কাউন্টি কারাগারের ভেতরে থাকা টয়েলেটের সামনে ঠান্ডা কাঠের বেঞ্চের ওপর সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হতে হয়।

তিনি অভিযোগে বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থাতেও তাকে দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করিয়ে নেয়া হতো। আর সেটা জানতো কর্মকর্তারা। ডেনভার শেরিফ বিভাগ বিবিসিকে বলেছে, তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে এবং জানতে পেরেছে কারাগারের কর্মীরা তাদের কাজ ঠিকঠাক মতোই করেছে।

বুধবার মামলাটি দায়ের করেছে। মামলায় ডেনভার শহর কর্তৃপক্ষ, ডেনভারের মেডিকেল সেন্টার ছাড়াও আরও ছয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দাখিল করেছেন ভূক্তভোগী ওই নারী। তিনি বলছেন, ‘তারা তাদের আইনি ও মানবিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিলেন।

স্থানীয় এক দৈনিকের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই ২৬ বছর বয়সী ডিয়ানা সাঞ্জেসকে ডেনভার কাউন্টি কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে এ দণ্ড দেয়া হয়। তারপর থেকে তিনি ওই কারাগারেই ছিলেন।

ডিয়ানা সাঞ্জেস অভিযোগে বলেছেন, তিনি যখন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখনই কারাগারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছিলেন। গত ৩১ জুলাই তিনি ডেপুটিকেও জানান যে, সশ্রম কারাদণ্ড হওয়ায় তাকে কাজ করতে হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার দিন সকালে তিনি কারাগারের সহকারী এবং নার্সের সঙ্গে অন্তত আটবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি এসময় তাদেরকে বলেন যে, তার প্রসব বেদনা হচ্ছে। কিন্তু তারা কেউই তার কথা সাড়া দেয়নি।

তবে এতকিছুর পরও তাকে কোনো সাহায্য করা হয়নি। তাই একা তাকে আরও চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সন্তান জন্মদানের চেষ্টা করতে হয়। এসময় কোনো রকমের মেডিকেল সেবা তাকে দেয়া হয়নি। সন্তান জন্মদানের পর একজন নার্স এসে তাকে দেখে মাত্র একটি প্যাড দিয়ে চলে যান।

ডেনভারের শেরিফ কার্যালয় অবশ্য বলছে, তাদের প্রত্যেকটি কারাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণ মেডিকেল সুবিধা থাকে। এটা সবারই পাওয়ার কথা। অভিযোগ ওঠার পর তারা জানিয়েছে, এখন থেকে অন্তঃসত্ত্বা বন্দিদের কারাগার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

এসএইচ-০৮/৩১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)