৩০ লাখ ছবি দেখে যৌন নিপীড়কের কারাদণ্ড

৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও দেখে যৌন নিপীড়কের শাস্তি দিয়েছে জার্মানির এক আঞ্চলিক আদালত৷

জানা গেছে, ১০ বছরে কমপক্ষে ৩২ শিশু ওপর যৌন নিপীড়ন চালায় দুই যৌন নিপীড়ক। এর প্রমাণ হিসেবে ৩০ লাখ ছবি ও ৮৬ হাজার ভিডিও পাওয়া গেছে। সেগুলো দেখে এবং ৩৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে পরে ওই যৌন নিপীড়ককে কারাদণ্ড দেয় আদালত৷

২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১০ বছরে জার্মানির ল্যুডগে শহরে কমপক্ষে ৩২ শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন চালায় আন্দ্রেয়াস ভি এবং মারিও এস নামের দুই ব্যক্তি। মূল অভিযোগ আন্দ্রেয়াসের বিরুদ্ধে। তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ডেটমোল্ডের আদালত। অন্য আসামি মারিয়োকে দেয়া হছেয়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড। তবে সাজার মেয়াদ শেষেও সমাজের জন্য বিপজ্জনক মনে হলে তাদের অনির্দিষ্টকাল কারাগারে থাকতে হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।

আন্দ্রেয়াস ভি. এবং মারিও এস. যৌননিপীড়নের নারকীয় ঘটনাগুলো ঘটান ছোট্ট শহর ল্যুডগের এক ক্যাম্পসাইটে। আন্দ্রেয়াস এক কন্যা শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন। পালক কন্যাকে দিয়েই ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের নিয়ে আসা হতো ক্যাম্পসাইটে। আন্দ্রেয়াস আর মারিও ওই শিশুদের ফুসলিয়ে যৌন লালসা মেটাতেন। যৌন নিপীড়নের ছবি আর ভিডিও রেখে দিতেন যত্ন করে। এসব কাজে ৪৯ বছর বয়সি আরেক ব্যক্তিরও ভূমিকা ছিল। আলাদা শুনানি শেষে তাকে দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেকেই অপরাধ স্বীকার করেছেন। ১০ দিনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় বিচারক আনকে গ্রুড্ডা ৩২ শিশুকে স্রেফ যৌন লালসার বস্তু বানিয়ে তাদের শৈশব ধংস করায় আসামিদের ভর্ৎসনা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা। দোষীদের কঠোর সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিশুদের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিশনার ইয়োহানেস-ভিলহেম রোরিগ।

তিনি বলেন, ডেটমোল্ডের আদালত সর্বোচ্চ সাজাই দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সমাজকে বার্তা দিয়েছে যে, শিশুদের সঙ্গে এমন অপরাধ করলে অপরাধীর কঠোর সাজা হবে।

এসএইচ-১৮/০৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)