খ্রিষ্টান কিশোরীকে ধর্মান্তরিত

এক মাসের মধ্যে আবারও জোর করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটল পাকিস্তানে। পাঞ্জাব প্রদেশে এক খ্রিষ্টান তরুণীকে জোর করে মুসলিম বানানোর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এর আগে লাহোরে শিখ তরুণীকে ধর্মান্তরিত করা হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মান্তরিত ওই কিশোরীর বাবা মুখতার মাশি থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার মেয়ে ফাইরাকে (১৫) ধর্মান্তরিত করার পেছনে হাত রয়েছে তার স্কুলের প্রিন্সিপাল সালিমা বিবির। লাহোর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে শেখপুরার একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয় ফাইরাকে। সেখানেই তাকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইসলাম গ্রহণ করার পর ওই ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রেখে দেওয়া হয়েছে ফাইরাকে। মেয়ে বাড়িতে ফিরছে না দেখে পাঞ্জাবের এক মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানান তিনি। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে। আর বুধবার তার পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে মেয়েটিকে দার-উল-আমান-এ রাখা হয়েছে। তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মেয়েটি নাবালক হওয়ায় তাকে ধর্মান্তরের বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পাবে না।

এনিয়ে গত এক সপ্তাহে ধর্মান্তরিত করার তিনটি ঘটনা ঘটল। এর আগে সিন্ধু প্রদেশে রেণুকা কুমারী নামে এক তরুণীকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে। কলেজ থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গত ২৯ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল রেণুকা। তিনি বর্তমানে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেতা মির্জা দিলওয়ার বেগের বাড়িতে আছেন।

অপরদিকে গত সপ্তাহে লাহোরের এক শিখ তরুণীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে তাকে ধর্মান্তরিত করা হয়। এ নিয়ে ইমরান খান ও পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানায় মেয়েটির পরিবার। ধর্মান্তরিত করার প্রতিবাদে দিল্লিতে পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে একাধিক শিখ সংগঠন।

এসএইচ-১৪/০৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)