স্ত্রী সবাইকে রোগের কথা বলায় স্বামীর আত্মহত্যা

বিয়ের চার বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন পরের ঘটনা। স্ত্রীর পরিধেয় ওড়না ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করলেন স্বামী। কারণ তার যে ‘গোপন’ রোগ ছিল স্ত্রী সেটা সবাইকে জানিয়েছেন। সেই অভিমানেই আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি।

পেশায় নিরাপত্তারক্ষী ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বয়স ২৭ বছর। তিনি আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোটে লিখেছেন যে, তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং শ্যালক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আত্মীয় ও অন্যদের তার এইচআইভি পজেটিভের খবর দেন। সেই অপমানেই আত্মহত্যা করছেন।

পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, আত্মঘাতী যুবক তার সুইসাইড নোটে লিখেছেন, তাদের ১২ বছরের সম্পর্ক। চার বছর আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের আগেই স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন। তাতে জানা গেছে, তিনি এইচআইভি পজেটিভ।

তখন তার স্ত্রী বলেছিলেন, তিনি এসব পরিবারের মধ্যেই গোপন রাখবেন। কিন্তু স্ত্রী তা না করায় স্বামী লিখেছেন, তার মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী দায়ী। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। তার বাবার জবানবন্দীর ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ।

যুবকের বাবা পুলিশকে বলেছেন, ঘটনার দিন তিনি হঠাৎ ছেলে তাকে একটি বার্তা পাঠায়। তা দেখে তিনি বাড়ি গিয়ে দেখেন ততক্ষণে তার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এরপর দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর আত্মঘাতী যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী,শাশুড়ি ও শ্যালকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রমাণ পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে তারা।

এসএইচ-১৯/২৯/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)