ফিদেল কাস্ত্রোকে খুন করতে গিয়ে প্রেমে পড়েছিলেন!

ফিদেল কাস্ত্রো । প্রতিপক্ষ ৬৩৮ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করে। পারেনি। শেষবার তাকে হত্যার জন্য
মারিতা লরেঞ্জ নামের এক নারী কিউবায় আসেন কাস্ত্রোকে হত্যা করতে। মারিতা জার্মানীর ছিলেন। তিনি যেদিন কাস্ত্রোকে হত্যার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন জাহাজে সেদিনের ঘটনা মারিতার বয়ানে শুনি:আমি জাহাজে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একটা লঞ্চ আমাদের জাহাজের দিকে আসছিলো। লঞ্চটিতে প্রায় ২৭ জন অস্ত্রধারী পুরুষ ছিলো। সকলের মুখভর্তি একই স্টাইলের দাঁড়ি। সকলের সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি অন্যদের তুলনায় বেশ লম্বা।

তিনি লঞ্চের গলুইতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হাতে রাইফেল ছিল। দূর থেকে তিনি চিৎকার করে উঠলেন, “আমি জাহাজে আসতে চাই।” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কে? তা শুনে তিনি অট্টহাসি হাসতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, আমিই কিউবা। অধমের পরিচয় ‘কম্যান্ডান্ট ফিদেল কাস্ত্রো’।

মারিতা ফিদেল কাস্ত্রোকে বলেন, ‘আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, এটা জার্মান মাটি। ফিদেল পাল্টা বলেন, কিন্তু আপনি আমার আশ্রয়ে আছেন। তখন ফিদেলের বয়স ৩৯ আর মারিতার ২০। তো তাদের আলাপের সময় আরেকজন এগিয়ে এসে বললেন, ‘আমি চেগুয়েভারা। জার্মান বিয়ার চাই। এরপর চলে বিয়ার খেতে খেতে তিনজনের আড্ডা।কিউবা গিয়ে হোটেলে উঠেন মারিতা।

পরদিন ফিদেলের সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন আসলেই জাহাজের ফিদেল ও সেই ফিদেল একই। মারিতা খুনের পরিকল্পনা করতে থাকেন।একদিন পাহাড়ে যান ফিদেলের সাথে। পরিকল্পনা গুলি করে হত্যা করবেন। কিন্তু পাহাড় চুড়োয় উঠে ফিদেলের ভায়োলিন বাজানো ও সুর শুনে আর খুন করতে পারেন না।

আরেকবার মদের গেলাসে বিষ মিশিয়ে দেন। দুজনের বসে খাচ্ছিলেন। ফিদেল ওয়াশরুমে যাওয়ার ফাঁকে মিশ মেশান। ফিদেল এসে বসে কেমন মাতালের মতো অভিনয় করে ওই গেলাস ফেলে দেন এমন ভান করে যে অনিচ্ছাকৃত পড়ে গেছে।অনেক পড়ে মারিতার সাথে যখন ফিদেলের প্রেম হয়ে যান তখন ফিদেল বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে মারতে এসেছিলে। আমি জানতাম।কিন্তু আমি একজন বিপ্লবী। জানোই তো বিপ্লবী হতে হলেই অনেক কৌশলী হতে হয়। আজ তুমি আমার বাচ্চা তোমার গর্ভে

ধারণ করে ফিরছ। সে নারী বা পুরুষ হোক, সে হয়ে উঠবে আরেক ফিদেল। ফিদেলদের মৃত্যু নেই।’ এটি মারিতাকে বিদায়ের দিনের আগের কথা।আজ ফিদেলের মৃত্যুদিন। একজন বিপ্লবীর মৃত্যু নেই।

এসএইচ-০৬/২৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)