মারা গেছেন বৃদ্ধ সমীররঞ্জন সুর (৬৮)। স্থানীয়রা কিছুই জানতে পারেননি। রাতের অন্ধকারে বৃদ্ধের শ্যালক বিশ্বনাথ দাসকে থার্মোকলের বাক্স নিয়ে ঢুকতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় যাদবপুর থানার পুলিশকে। তাঁরা গিয়ে দেখেন বড় একটি থার্মোকলের বাক্সের ভেতর বরফ চাপা দিয়ে রাখা আছে বৃদ্ধের দেহ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ইতিমধ্যেই স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে জামাইবাবুর ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ জোগাড় করে ফেলেছে বিশ্বনাথ। সংরক্ষণের জন্য সে বরফ নিয়ে ঢুকছিল। সম্পত্তির জন্যই সে অত্যাচার করে সমীররঞ্জনকে খুন করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ। যদিও তিনি খুন হয়েছেন কি না, এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্ভবত তিন দিন আগেই মারা গেছেন সমীররঞ্জন। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
ভারতের ৩৫ই, রিজেন্ট কলোনির বাসিন্দা সমীররঞ্জন কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ, শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পুলিশকে বিশ্বনাথ জানিয়েছে, জামাইবাবুকে খাবার দিতে এসে সে দেখতে পায় তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তার সন্দেহ হয়, সমীররঞ্জন মারা গেছেন। সমীররঞ্জনের স্ত্রী ও মেয়ে এই মুহূর্তে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পাঞ্জাবে বেড়াতে গেছেন। তাঁদের খবর দেয় বিশ্বনাথ। এর পরেই সে এক চিকিৎসকের থেকে ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করার পর দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করে।
সোমবার রাতে যখন সে থার্মোকলের বাক্সে বরফ ভরে ঢুকছিল, তখনই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সমীররঞ্জনের বাড়িটি প্রোমোটিংয়ের জন্য কথা চলছিল। যা তিনি মানতে চাননি। এই নিয়েই বিশ্বনাথের সঙ্গে তঁার বিবাদ চলছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশের তরফে মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তঁারা ফিরলে বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে স্থানীয় ওই চিকিৎসককে, যিনি রোগী না দেখেই ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এসএইচ-০৯/০৮/২০ (অনলাইন ডেস্ক)