প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় কপালে জুটলো মৃত্যু!

১৩ বছরের কিশোরীর ১৩ দিনের লড়াই শেষ। হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে। রোববার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতালে মারা গেছে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। ভারতের সোনারপুরের হাসানপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম অঙ্কিতা দেবনাথ। তার কী অপরাধ?‌ এক যুবক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেটি সে প্রত্যাখ্যান করে। প্রত্যাখ্যাত হয়ে ওই যুবকের ভয়াল আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

প্রকাশ্য দিনের আলোয় রাস্তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মুখে আক্রমণ করে কয়েকজন যুবক। স্কুলে ভর্তি হতে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। সবে ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছিল অঙ্কিতা। অদম্য সাহস ছিল তার। তাই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার পরেও রাস্তা থেকে উঠে মুখ চাপা দিয়ে খানিক পথ গিয়েছিল অঙ্কিতা। তার পর এলাকার মানুষ তাকে ভর্তি করে হাসপাতালে। ৭ জানু্য়ারি ঘটনাটি ঘটে হাসানপুরে। তার পর থেকে অনেক জলই গড়ায়।

১১ তারিখ রাতে তার বাবা রাজু দেবনাথ সোনারপুর থানায় মেয়ের ওপর হামলার অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরের দিন দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। তার পর পুলিশ দু’‌জনকে ধরে। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রী এসএসকেএম হাসপাতালে কোমায় চলে যায়। চলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই।

এদিন ভোরে তার মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। তার মা বিশাখা দেবনাথ জানান, যারা এই কাজ করেছে তাদের ফাঁসি হোক, এটাই চাই। প্রতিবেশী সোমা মণ্ডল জানান, মেয়েটা মারা গেল। কিন্তু এখনও আমরা জানতেই পারলাম না কারা এই কাজ করল। অন্ধকারে রয়েছি।

জেলার অরিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ২ জনকে ধরা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালক। তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। অন্য একজনের কথাতেও অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। তাই তাকেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। তাই ওই ছাত্রীর বয়ান নেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই ছাত্রী মারা গেল। আগে খুনের চেষ্টার মামলা শুরু করা হয়। এখন খুনের মামলা শুরু হয়েছে। রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।

এসএইচ-০২/২১/২০ (অনলাইন ডেস্ক)